—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। পঞ্চায়েতের ২৩০ এবং ২০৯ নম্বর বুথ এলাকায় দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। নেমেছে র্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দলীয় পতাকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে আইএসএফ এবং তৃণমূল গন্ডগোল শুরু হয় দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়কোলা এলাকা। ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষের পাঁচ জন আহত হন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে দু’দলের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। তবে এর পরও শেষ হয়নি অশান্তি। পরস্পরের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ তোলে আইএসএফ এবং তৃণমূল। চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩০ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী ইকবাল হোসেনের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় আইএসএফ প্রার্থীরা এসে তৃণমূলের পতাকা খুলে দিয়ে নিজেদের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। বাধা দিতে গেলে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালান ওঁরা। বোমাবাজিও হয়।’’ অন্য দিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসএফ প্রার্থী বাকিবিল্লার অভিযোগ, ‘‘এই এলাকার তৃণমূল প্রার্থী ইকবাল হোসেন ও ফারুকুজ্জামান বাবলু আইএসএফের সমস্ত পতাকা খুলে ফেলে দেয়। আইএসএফ কর্মীদের মারধর করে এলাকায় বোমাবাজি করেন।’’ গোটা ঘটনায় একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে দুই পক্ষ। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়াকে দেখা যায় লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আইএসএফ প্রার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। এলাকায় নামে র্যাফ।
ওই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবধান তার মধ্যেই চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্সিরহাটি ২০৯ নম্বর বুথে সিপিএম এবং তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অপরের গাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে মারামারিতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। জখমদের মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও।
চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্সিরহাটি ২০৯ নম্বর বুথে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারের পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু সাংসদ সেখানে পৌঁছনোর আগে আইএসএফ এবং বামসমর্থিত কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূলের মিছিলে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন বলে অভিযোগ। এর পর দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অন্যের দিকে ইট ছুড়তে থাকেন তাঁরা। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় কোনও আটক বা গ্রেফতারির খবর পাওয়া যায়নি।