এই দোকানি ডাকাতি হয় বলে অভিযোগ করেন দোকানমালিক। —নিজস্ব চিত্র।
মাস তিনেক আগে দুর্গাপুজোর আগে সোনারপুরে একটি গয়নার দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি গয়নার দোকানে ডাকাতির অভিযোগ উঠল মঙ্গলবার। এ বার ঘটনাস্থল বৈকুণ্ঠপুর। অভিযোগ, সন্ধ্যায় বৈকুণ্ঠপুরে বকুল জুয়েলার্স নামে একটি গয়নার দোকানে গয়না এবং নগদ টাকা লুটের অভিযোগ করেন দোকানমালিক। তিনি জানান, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুট হয়েছে দোকান। কিন্তু ঘটনার তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে এল ভিন্ন তথ্য। জানা গেল ঋণের কারণে নিজেই দোকানেই ডাকাতি করানোর ছক কষেছিলেন তিনি। ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনারপুর থানার বৈকুন্ঠপুরের বাগুইপাড়ায় ওই গয়নার দোকানে ডাকাতি হয় বলে অভিযোগ করেন দোকানমালিক। তিনি জানান, দোকান খোলার পর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু দোকানের মালিক রাজু রায়ের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনারপুর থানায়। সোনারপুর থানার আইসি এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রবদন ঝা রাজুকে বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। তার মধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন রাজু ডাকাতির গল্প সাজিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু ধারদেনা রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। সেই কারণেই এই কাণ্ড করেছেন তিনি। এই ভাবে বিমার টাকা পাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রাজু।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক যুবতীর কাছে বছর খানেক আগে ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত। তাঁকে গয়না না দিয়ে ঘোরানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁর ফোনও ধরছিলেন না ওই ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই যুবতী দোকানে এলে ডাকাতির কথা শোনেন। এই তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাশাপাশি সোনার দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ জানান, ঘটনার তদন্ত করে পুরো বিষয়টি সামনে এসেছে। ডাকাতির ঘটনা সাজানো বলেই জানান তিনি।