সামলে-সুমলে যাতায়াত। ছবি: দিলীপ নস্কর।
সাঁতার না জানলে রাস্তা পারাপার করবেন না!
কারণ, রাস্তা ভেঙে খালের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। রাস্তার উপরে জমে রয়েছে প্রায় দেড় মানুষ সমান জল। যদি একান্তই ওই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়, তা হলে গামছা প়রে সাঁতরানো ছাড়া অন্য উপায় নেই বললেই চলে!
মথুরাপুর ২ ব্লকের রায়দিঘি-মথুরাপুর রোডে কাশীনগর জোড়াপোল মোড়ের পাশ দিয়ে সোনাতলা খাল বয়ে রায়দিঘির মণিনদীতে মিশেছে। ওই খালপাড়ের রাস্তাটি জোড়াপোল মোড় থেকে বাহিরকাঞ্জলি গ্রামে গিয়েছে। সেই রাস্তাটিরই এমন জলমগ্ন দশা। যদিও মথুরাপুর ২ বিডিও মোনালিসা তিরকের দাবি, ওই রাস্তার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসটুকু মিলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন কালীকাপুর, পুরকাইতেরচক, বৈরাগীরচক, বৈদ্যপাড়া, বাহিরকাঞ্জলি-সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। কাশীনগরের হাইস্কুলে আসতে হলেও এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু রাস্তাটি দীর্ঘ দিন সারাই হয়নি। বছর সাতেক আগে জোড়াপোল মোড় থেকে নামার মুখে প্রায় ৫০ ফুট রাস্তা ভেঙে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তখন যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাঁশের মাচা তৈরি করা হয়। কিন্তু বছর কয়েক পরে সেই মাচাও ভেঙে যায়। তারপর থেকে জোড়াতালিটুকু পর্যন্ত পড়েনি। এখন দিন কয়েকের বৃষ্টির পরে ওই রাস্তা এবং পাশের খাল প্রায় মিশে গিয়েছে। ফলে হেঁটে যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব। তবে গামছা পড়ে সাঁতরে কেউ কেউ রাস্তা পেরোচ্ছেন। বাকিরা যাচ্ছেন ঘুরপথে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘুরপথে যেতে হলে বাড়তি প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগছে। খালপাড় জলে ডুবে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন চাষি এবং শ্রমিকেরা। স্থানীয় বাসিন্দা অমল হালদার, তিলক কর্মকারদের ক্ষোভ, ‘‘ভারী বৃষ্টি হলেই বহু বছর ধরে ওই রাস্তা জলে ডুবে থাকে। প্রতি বছর বর্ষা শুরু হওয়ার পরে প্রায় তিন মাস রাস্তাটি ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’’
গিলারছাট পঞ্চায়েতের প্রধান নবীন মাল বলেন, ‘‘রাস্তাটি মাটি ফেলে উঁচু করার দরকার। কিন্তু রাস্তার আশেপাশের চাষিরা মাটি না দেওয়ায় সেটি করা যাচ্ছে না। বিডিওকে জানানো হয়েছে।’’