জমিতে জমে রয়েছে জল। ছবি: সামসুল হুদা।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের নানা এলাকায়। ক্যানিঙেও দিন কয়েক ধরে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছে চাষিরা।
শীতের মরসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লঙ্কা ,পালং শাক, টম্যাটো, ওলকপি, ক্যাপসিকাম-সহ বিভিন্ন সব্জির চাষ শুরু হয়েছে ক্যানিঙের বিভিন্ন এলাকায়। ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, ভাঙড়, জীবনতলা-সহ ক্যানিঙের বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের আশঙ্কা, অসময়ের বৃষ্টির জন্য সেই সব সব্জি নষ্ট হয়ে যাবে। বাড়তে পারে সব্জির দাম।
ভাঙড়ের চাষি কিসমত মোল্লার দাবি, ‘‘১৫ কাঠা জমিতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ক্যাপসিকাম ও দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করে ওলকপি চাষ করেছিলাম। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ বাসন্তীর সব্জি চাষি সালাউদ্দিন মোল্লার আক্ষেপ, ৫ কাঠা জমিতে প্রায় টম্যাটো এবং ১০ কাঠা জমিতে চাষ করা পালং শাক বৃষ্টিতে নষ্ট হতে বসেছে। স্থানীয় চাষি আকচির মোল্লার আশঙ্কা, এই বৃষ্টির জন্য শীতের অনেক সব্জি নষ্ট হয়ে যাবে। এখন নতুন করে সব্জি চাষ সম্ভব নয়। ফলে শীতের সময়ে অনেকটাই বাড়তে পারে সব্জির দাম। যদিও ক্যানিং মহকুমার কৃষি আধিকারিক তরুণ মণ্ডলের দাবি, ‘‘আপাতত এই বৃষ্টিতে চাষে ক্ষতির তেমন আশঙ্কা নেই। এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। তবে বৃষ্টি টানা হলে সব্জির ক্ষতি হতে পারে। তবে আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।’’
ক্যানিঙের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য জানান, চাষের কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা এখনই বলা সম্ভব নয়। ব্লক স্তর থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।