canning

বেলাগাম বিদ্যুতের বিল ভাঙড়ের গ্রামে

অস্বাভাবিক এই ঘটনায় আতঙ্কিত ভাঙড়ের মাছিভাঙা, পদ্মপুকুর, টোনা গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি

কোনও বাড়িতে একখানা ছোট টিভি, দু’টো পাখা, দু’টো টিউব হয় তো জ্বলে। কোনও বাড়িতে আরও কম। কিন্তু বিদ্যুতের বিল এসেছে আকাশছোঁয়া। একটা দু’টো বাড়িতে নয়। এই ঘটনা ঘটেছে গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে। অস্বাভাবিক এই ঘটনায় আতঙ্কিত ভাঙড়ের মাছিভাঙা, পদ্মপুকুর, টোনা গ্রামের বাসিন্দারা। বিদ্যুতের বিল দেখে মাথায় হাত তাঁদের।
বছর তিনেক আগে কৃষিজমি লাগোয়া পাওয়ার গ্রিড তৈরির কাজ বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছিলেন ভাঙড় ২ ব্লকের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের এই সমস্ত গ্রামের মানুষ। বিস্তর আলাপ আলোচনার পরে পরিস্থিতি থিতু হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে গ্রামবাসীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এক ধাক্কায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি বিল এসেছে এ বার। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একই ঘটনা। যাঁর তিনমাসে হাজার থেকে বারোশো টাকা বিল আসত, তাঁর বিল এসেছে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। আর যাঁর তিন থেকে চার হাজার টাকা বিল আসত, তাঁর বিল এসেছে বারো-পনেরো হাজার টাকা।
ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামবাসীদের তরফে বারুইপুরের মহকুমাশাসক, ভাঙড় ২ বিডিওকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মির্জা হাসান বলেন, “গত ২৯ অগস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির পক্ষ থেকে যে বিল পাঠানো হচ্ছে, তা অস্বাভাবিক বেশি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি।”
করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষের অনেকেরই সে ভাবে কাজকর্ম নেই। বহু মানুষ ভিনরাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে এসেছেন। এই সময়ে এত বিদ্যুৎের বিল কী ভাবে মেটাবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না গ্রামের মানুষ। স্থানীয বাসিন্দা মহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “এমনিতেই আয় নেই। তার উপরে এই একটা পাখা আর দু’টো লাইট জ্বালিয়ে এত বিল এলে আমরা কোথা থেকে দেব! এর থেকে ভাল, আমাদের লাইন কেটে দিক।’’
এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন বিডিও কৌশিককুমার মাইতি। তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের তরফে একটা অভিযোগ পেয়েছি। কী ভাবে এত বিল এল, সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” স্টেশন ম্যানেজার দীপক দেবনাথ বলেন, “মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিদ্যুতের বিল হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement