বাঁধ মেরামতির নামে দায়সারা কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় ভুগছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত সন্দেশখালি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ।
প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে পড়ে এই এলাকার বহু গ্রামে। ডুবে যায় খেত, পুকুর, মাছের ভেড়ি, ঘর-বাড়ি। বাঁধের জন্য জমি ছেড়ে পিছিয়ে যেতে হয় বলে জানালেন অনেকে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যে গ্রামের অনেকে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। দুর্যোগের পরে ত্রাণ-পুনর্বাসন নয়— এখানকার মানুষ চান পাকাপোক্ত কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হোক। সন্দেশখালি ও খুলনা পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে ডাঁসা নদী বয়ে গিয়েছে। খুলনা এলাকার চারশো ফুট নদীবাঁধ বেহাল। যে কোনও সময়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে এলাকা।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বাঁধ বরাবর ঢালাই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সেই রাস্তাটি আট মাস আগেতলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। বৌঠাকুরন, খুলনা, ঢোলখালি-সহ সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রায় ১৫টি গ্রামেরকয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এলাকার মানুষের দাবি, বাঁধে সামান্য ভাঙন দেখা দিলে কোনও রকমে দরমার বেড়া, পলিথিন এনে চাপা দেওয়া হয়। কয়েক দিন যেতে না যেতেই সব-সহ নদী বাঁধ তলিয়ে যায়।
এলাকার বাসিন্দা রাজু মণ্ডল, প্রদীপ করণেরা জানান, সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই পাকা নদীবাঁধের ব্যবস্থা করা দরকার। রত্না বিশ্বাস, সাহানারা খাতুনদের কথায়, ‘‘আকাশে মেঘ করলে বুক কাঁপে। পাকাপোক্ত কংক্রিটের নদীবাঁধ না হলে এক দিন জলে ডুবেই মরতে হবে।’’
এ প্রসঙ্গে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রচুর টাকার দরকার। কেন্দ্র সেই টাকা আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের পক্ষে বাঁধ মেরামতিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”