Poor Condition of Roads

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ, ক্ষোভ এলাকায়

স্থানীয় মানুষের দাবি, রাস্তা সংস্কারের কাজ যেমন-তেমন করে শেষ হয়েছে শনিবার। রবিবার সকালেই দেখা গেল, হাত দিয়ে টান দিলেই পিচের আস্তরণ উঠে আসছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫২
Share:

হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে পিচের প্রলেপ। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।

সদ্য সংস্কার হওয়া পিচের রাস্তার প্রলেপ হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে বলে অভিয়োগ তুললেন গ্রামবাসীরা। এই অবস্থা হাসনাবাদ থানার দুলদুলি পঞ্চায়েতের করণপাড়া থেকে করুণা মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পথের কিছু অংশে।

Advertisement

বাম জমানায় তৈরি হয়েছিল এই রাস্তা। প্রায় পনেরো বছর সংস্কার হয়নি। গোটা রাস্তা কার্যত গর্তে ভরে গিয়েছিল। গ্রামের বাইরে যাওয়ার এটাই একমাত্র রাস্তা। রাস্তার পাশে একটি বোর্ড বসানো হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১৩৪০ মিটার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে ১৬ মে, ২০২৩ থেকে। অর্থ বরাদ্দ, ১৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৮১ টাকা। কাজ শেষের তারিখের জায়গায় ২০২৩ সাল বসানো আছে। তবে মাস ও তারিখ উল্লেখ নেই।

স্থানীয় মানুষের দাবি, রাস্তা সংস্কারের কাজ যেমন-তেমন করে শেষ হয়েছে শনিবার। রবিবার সকালেই দেখা গেল, হাত দিয়ে টান দিলেই পিচের আস্তরণ উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল মিশ্র, সুব্রত পাত্রেরা বলেন, ‘‘ফের এই রাস্তা সংস্কার করা দরকার। নিম্নমানের দিয়ে কাজ হয়েছে। দু’এক মাসের মধ্যে রাস্তা ফের ভেঙে যাবে।’’

Advertisement

স্থানীয় বিজেপি নেতা দামোদর প্রামাণিক বলেন, ‘‘হাফ ইঞ্চিও পিচ দেয়নি। বাচ্চারাও রাস্তার পিচের আবরণ তুলে দিচ্ছে। আমাদের মনে হয়, স্থানীয় তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগির জন্য রাস্তা নিম্নমানের হয়েছে।’’

রাস্তার সংস্কার যে সঠিক ভাবে হয়নি, তা মেনে নিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অরিজিৎ পাত্র বলেন, ‘‘রাস্তার বড় অংশ যখন সংস্কার হয়, তখন আমরা উপস্থিত থেকে ভাল করে কাজ করিয়েছি। রাস্তার শেষের কিছুটা অংশ যখন সংস্কার হয়েছে, তখন আমরা ছিলাম না। এই অংশের রাস্তার কাজ রাতেও হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে ধুলো পরিষ্কার করা, পিচের প্রলেপ দেওয়ার আগে জল পিচ দেওয়া— সেগুলো সঠিক ভাবে হয়নি। সেই সঙ্গে পিচের প্রলেপ শেষের দিকে কিছুটা কম হয়েছে। তাই এমন ভাবে প্রলেপ উঠে যাচ্ছে। তবে কাটমানি নেওয়ার যে অভিযোগ বিরোধীরা করছে, তা ভিত্তিহীন।’’ অরিজিতের দাবি, বিষয়টি বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে। যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদেরও বলা হয়েছে। যে অংশে কাজ সঠিক হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে আবার ভাল করে সংস্কারের কাজ করতে হবে।

নির্মাণ সংস্থার তরফে আমিরুল সর্দার বলেন, ‘‘একটু ভুল হয়েছে। শেষের দিকে কিছুটা রাস্তায় জল-পিচ দেওয়া হয়নি। ধুলো সাফ না করেই পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা দ্রুত এই অংশে ফের সংস্কারের কাজ করব। তবে গোটা রাস্তায় এমন সমস্যা নেই।’’

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর কথায়, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। তবে সোমবার ঘটনাস্থলে জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement