Teacher Recruitment Scam Case

সৎ রঞ্জনের সৎ জামাইয়ের চাকরিও কি অসৎ পথে? জয়ন্ত বলছেন, সরকারের ভুল!

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত প্যারীচরণ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে গত ২ বছর ধরে চাকরি করছেন জয়ন্ত। জয়ন্তের দাবি, তাঁর নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসাত শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৭
Share:

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

তাঁর চাকরিও কি ‘দুর্নীতি’ করে হয়েছে? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের জামাই এ প্রশ্নের উত্তরে দায় ঠেললেন সরকারের দিকে। সোমবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সৎ রঞ্জনের ‘সৎ জামাই’ জয়ন্ত দাস নিজেই সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন।

Advertisement

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত প্যারীচরণ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে গত ২ বছর ধরে চাকরি করছেন জয়ন্ত। জয়ন্ত প্রথমে দাবি করেন যে, তাঁর নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা নেই। তিনি সৎ ভাবেই চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু ‘এসসি কোটা’তে কী ভাবে তাঁর চাকরি হল, তা নিয়ে বলতে গিয়েই নিজের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন জয়ন্ত।

জয়ন্তের কথায়, ‘‘আমি ২০০৯ সালে এসসি কোটায় (চাকরির) আবেদন করি। কিন্তু সরকার আমাকে জেনারেল কোটায় চাকরি দেয়। সরকার যদি ভুল করে তবে আমি কী করতে পারি!’’ তিনি এ-ও জানান, তাঁরা মোট ১৭ জন কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। পরে রাজ্য সরকার সেই ১৭ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে বলে জয়ন্ত নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে এই একই বিষয়ে আবারও ৭৮ জন হাই কোর্টে মামলা করেছেন। ওই মামলা আপাতত বিচারাধীন।

Advertisement

হাওড়ার একটি স্কুলে চাকরি পাওয়া জয়ন্ত তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে কী ভাবে ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বদলি হয়ে গেলেন এবং তাঁর চাকরির বৈধতা নিয়ে ৭৮ জন চাকরিপ্রার্থী জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে আরও ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই জয়ন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। চন্দনের গ্রেফতারি নিয়ে জয়ন্তের দাবি, তাঁর সঙ্গে শ্বশুরের সম্পর্ক ভাল ছিল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement