এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
২০২৩ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩। কিন্তু গত বছর বনগাঁ মহকুমায় প্রসূতি-মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ। যা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পাঁচ জনকেই নার্সিংহোম থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেষ মুহূর্তে মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি। তাই শুরুতেই প্রসূতিদের ওই হাসপাতালে আনার আর্জি জানাল জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
ওই দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত বছর যে পাঁচ প্রসূতি মারা গিয়েছেন, সকলেই নার্সিংহোমে সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ‘‘মানুষকে বুঝতে হবে, মহকুমার নার্সিংহোমের তুলনায় বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো অনেক উন্নত। সকলের কাছে আবেদন, সরকারি হাসপাতালে আসুন।’’
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কেউ যদি নার্সিংহোমে যান, আমাদের কিছু বলার নেই। তবে, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্তারা সর্বস্তরে কাজ করছেন। প্রসূতিদের সরকারি হাসপাতালে আনার চেষ্টা করা হয়।’’
স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমার বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি নাসিংহোমের পরিষেবা উন্নত। সে কারণেই প্রসূতিদের সিজ়ার করানোর জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। অথচ, বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এখন ২৪ ঘণ্টার ব্লাডব্যাঙ্ক আছে। প্রয়োজনে যে কোনও সময় রক্ত মেলে। আছে এইচডিইউ, এসএনসিইউ। সর্বক্ষণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অ্যানাস্থেটিস্ট থাকেন। ফলে, হাসপাতালে সিজ়ার হওয়া বেশি নিরাপদ। প্রসবের পর প্রসূতির বা তাঁর সন্তানের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রেই নার্সিংহোমে তা সম্ভব হয় না। এখন সরকারি ব্যবস্থায় প্রসূতিদের চিকিৎসা, এমনকি, তাঁদের নিখরচায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালেও আনা হচ্ছে। এখন প্রসূতি-মৃত্যু অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। তবে, একজনের মৃত্যুও কাম্য নয়।