রাজু সাহানি। ফাইল চিত্র।
চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পুরপ্রধান পদে রাজু সাহানিকে বহাল রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠছিল দলের অন্দরে। শেষমেশ উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজু। বুধবার পুরসভায় দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠকের পর তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায়। রাজুর জায়গায় উপ-পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষের নাম ঘোষণা করেছে শাসকদলের সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।
চিটফান্ড মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকার পরে সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ওই পুরসভার দায়িত্ব রয়েছে শুভঙ্করের হাতে। পুরসভা সূ্ত্রে খবর, খাতায়কলমে রাজু পুরপ্রধান থাকলেও পুরসভায় বিশেষ আসতেন না। সম্প্রতি পুর পরিষেবা নিয়েও পুরসভার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজু। দাবি করেছিলেন, পুরসভার যে পরিমাণ কর নেওয়ার কথা, তার থেকে বেশি টাকা এলাকাবাসীকে ‘অকুপাই ট্যাক্স’ হিসাবে দিতে হচ্ছে। রাজুর প্রকাশ্যে মুখ খোলা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে আরও এক বার সামনে চলে এসেছিল শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও রাজুর অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে খারিজ করে দিয়েছিলেন শুভঙ্কর।
সেই টানাপড়েনের পর বুধবার ইস্তফা দিলেন রাজু। তিনি বলেন, ‘‘দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একদম ঠিক। নতুন পুরপ্রধান যিনি হবেন, হালিশহরের মানুষের স্বার্থে তাঁকে আমি সাহায্য করব।’’ রাজু স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাপস। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে আগামী সাত দিনের মধ্যে বোর্ডের বৈঠক ডাকা হবে। তার পর যা যা করণীয়, করা হবে। নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান শপথ নেবেন।’’ পুরপ্রধান পদে দলের তরফে তাঁর নাম প্রস্তাব করা নিয়ে শুভঙ্কর বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’’