প্রতীকী ছবি।
হাসনাবাদ ব্লক ও টাকি পুরসভা এলাকায় আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২১০ কোটি টাকার জল প্রকল্পের ছাড়পত্র পেল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে।
দফতর সূত্রের খবর, প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় দেড় বছর।
হাসনাবাদ ব্লকের আমলানি, মুরারিশা, মাখালগাছা, ভেবিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় আর্সেনিক ও আয়রনের প্রকোপ আছে। তাই গোটা হাসনাবাদ ব্লক এবং টাকি পুরসভার সব এলাকায় আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হাসনাবাদ জোনের দায়িত্বে থাকা কল্লোল বিশ্বাস জানান, শ্যামনগর থেকে গঙ্গার জল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বসিরহাট, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা আগেই করেছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। তারপর 'সারফেস বেসড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম ফর হাসনাবাদ' নামে একটি স্কিমের পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শ্যামনগর থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে যে বিশুদ্ধ জল বসিরহাটে আসবে, সেই জলই পাইপ লাইনের মাধ্যমে বসিরহাট-হাসনাবাদ রোড দিয়েই টাকি ও হাসনাবাদে নিয়ে আসা হবে। হাসনাবাদ ব্লকের ১১টি প্রান্তে ১১টি উঁচু জলাধার তৈরি হবে। এক একটি জলাধারে ১০ লক্ষ লিটারের থেকেও বেশি জল ধরবে। সেখান থেকে হাসনাবাদ ব্লক ও টাকি পুরসভার প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে।
ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে যে ১১টি জলাধার করা হবে সেই জায়গাগুলোর মাটি পরীক্ষা করতে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। কল্লোল বিশ্বাস বলেন, “হাসনাবাদ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখন যে জল সমস্যা ভোগ করছেন তা আর থাকবে না। আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানীয় জল পাবেন মানুষ। ব্লকের সব বাড়িতে বিশুদ্ধ জল পৌঁছে দেওয়াই সরকারের পরিকল্পনা।”