শান্তি ফিরেছে কতটা, চাপানউতোর চলছে গোবরডাঙার পুরভোট ঘিরে

গোবরডাঙা বাজারে ঢোকার ঠিক আগে কালীবাড়ি মোড় এলাকায় রাস্তার উপরে নেতাজির আবক্ষ মূর্তির নীচে গোল করে পাশাপাশি লাগানো তৃণমূল ও সিপিএমের বেশ কিছু পতাকা। শহরের উপর দিয়ে চলে যাওয়া বনগাঁ-বসিরহাট সড়কের পাশেরও বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূলের পতাকা দেখা যাচ্ছে একই সারিতে। আরও বেশ কিছু এলাকায় সেই দৃশ্যো। এক নজরে দেখলে মনে হতেই পারে, ডান-বাম দু’পক্ষই এখানে ভোটের ময়দানে পারস্পরিক সহাবস্থান বজায় রেখেছে।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৬
Share:

আপাত সহাবস্থানের চিত্র। শান্তনু হালদারের তোলা ছবি।

গোবরডাঙা বাজারে ঢোকার ঠিক আগে কালীবাড়ি মোড় এলাকায় রাস্তার উপরে নেতাজির আবক্ষ মূর্তির নীচে গোল করে পাশাপাশি লাগানো তৃণমূল ও সিপিএমের বেশ কিছু পতাকা। শহরের উপর দিয়ে চলে যাওয়া বনগাঁ-বসিরহাট সড়কের পাশেরও বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূলের পতাকা দেখা যাচ্ছে একই সারিতে। আরও বেশ কিছু এলাকায় সেই দৃশ্যো। এক নজরে দেখলে মনে হতেই পারে, ডান-বাম দু’পক্ষই এখানে ভোটের ময়দানে পারস্পরিক সহাবস্থান বজায় রেখেছে। ছোট-বড় কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষও ঘটেনি ভোটের আবহে। কিন্তু বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে চাপা সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হচ্ছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। থানা-পুলিশ অবশ্য হচ্ছে না তেমন। সে ক্ষেত্রেও চাপা সন্ত্রাসই নাকি কারণ, অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও সে সব প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান তৃণমূলের সুভাষ দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধীরা অসত্য কথা বলছে। এখানে সিপিএম-সহ বাকি বিরোধী দলগুলি অস্তিত্বহীন হয়ে গিয়েছে। গত লোকসভার উপ নির্বাচনের ফলেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। অস্তিত্বহীনদের কেন আমরা গুরুত্ব দিতে যাব?’’

Advertisement

ভোট কতটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে, তা নিয়েও বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁদের এমনও দাবি, ‘‘মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে এ বারে নাকি গোবরডাঙায় অত্যাশ্চর্য ফল হবে।’’ সত্যিই কি তাই? পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে অন্য কথাই।

গোবরডাঙার মানুষ শেষ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন কিছু দিন আগে বনগাঁ লোকসভার উপ নির্বাচনে। ওই ভোটের ফলাফল বলছে, পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে শাসক দলের প্রার্থী মমতা ঠাকুর এগিয়ে ছিলেন ১৬টি ওয়ার্ডেই। একমাত্র ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে ছিলেন। লোকসভার উপ নির্বাচনের ওই ফলাফল ধরে রাখতে এখন উঠে পড়ে লেগেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

২০১০ সালের পুরভোটে সতেরোটি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১১টি, সিপিএম পায় ৫টি, কংগ্রেস পেয়েছিল একটি মাত্র আসন। এ বারের ভোটে ঠিক আগে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর গোবিন্দলাল মুখোপাধ্যায় দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২টি। এগারো জন বিদায়ী কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূল এ বারে টিকিট দেয়নি চার জনকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর জ্যোৎস্না গোলদার। তাঁর ওয়ার্ডটি এ বার সাধারণ হিসাবে সংরক্ষিত। ফলে দল তাঁকে ইচ্ছে করলেই প্রার্থী করতে পারত। জ্যোৎস্নাদেবীর দাঁড়াতেও আপত্তি ছিল না। কিন্তু দল ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করছে বিশ্বনাথ চক্রবর্তীকে। ফলে এখানে দলের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে কেউ তা স্বীকার করছেন না।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী উপ পুরপ্রধান অসীম তরফদার। তিনি বর্তমানে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। অসীমবাবুর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে আপেল চিহ্নে দাঁড়িয়ে পড়েছেন সদ্য প্রাক্তন গোবরডাঙা শহর যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। দল তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে। কিন্তু ওয়ার্ডের বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে তাঁর প্রচারে দেখা যাচ্ছে। তা ছাড়া, স্থানীয় নেতৃত্বের একটি অংশের প্রচ্ছন্ন মদতও তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলে দলের অন্দরের খবর। যদিও পাঁচ বাবের কাউন্সিলর অসীমবাবু বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে আমার লড়াই হচ্ছে না। আমার লড়াই সিপিএমের সঙ্গে।’’ একই বক্তব্য বিশ্বনাথবাবুও। তিনি বললেন, ‘‘অসীমবাবু ওয়ার্ডে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছেন। সিপিএম প্রার্থী শ্যামল ভট্টাচার্যের সঙ্গেই আমার লড়াই।’’

এ বার গোবরডাঙায় শাসক দলে দেখা গিয়েছে পরিবারতন্ত্রের হাওয়া। এ বার অসীমবাবুর প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলের মধ্যে থেকে বিরোধিতা এসেছিল। শেষে অবশ্য জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সুভাষবাবুর উদ্যোগে জটিলতা কেটে যায়। পুরপ্রধান সুভাষবাবুর পাশাপাশি এ বার দলীয় প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ভাই তথা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর দত্ত ও তাঁর স্ত্রী বুলি দত্ত। কর্মীদের চাপেই তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করতে হয়েছে বলে জানালেন শঙ্করবাবু।

যমুনার মজে যাওয়া নাব্যতার মতোই এখানে সিপিএমের সংগঠনের হাল। তার মধ্যেও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তারা সংগঠন ধরে রাখতে পেরেছে বলে শাসক দলেরই অনেকে মনে করছেন। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে কী ফল হতে যাচ্ছে?

নিজের বাড়িতে বসে কথা বলছিলেন পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা বাপি ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন এবং পুলিশ-প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, তা হলে আমরা জয়ী হচ্ছিই।’’ মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য দলীয় ভাবে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও বাপিবাবু জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘৮ নম্বর ওয়ার্ডে সন্ত্রাস সব থেকে বেশি হচ্ছে। কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেউ প্রচারে বের হলে গিয়ে বলা হচ্ছে, কেন আপনি প্রচারে বের হচ্ছেন। স্থানীয় সিপিএম কর্মী শচীন মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েও হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’ প্রায় এক হাজার সিপিএম সমর্থকের নাম ভোটার তালিকা থেকে তৃণমূল বাদ দিয়ে দিয়েছে বলেও বাপিবাবু দাবি করেছেন। শঙ্করবাবু বলেন‘‘ গোবরডাঙাকে ‘সন্ত্রাসের আঁতুরঘর’ বানিয়েছিল সিপিএম। কলেজ ভোটে ওরা সন্ত্রাস করেছে। বিধায়ক সাংসদকে মারধর করেছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর দিন এলাকায় আমরা মিছিল করে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলাম, উত্তেজনা তৈরি না করতে। এখন এখানে তোলবাজি-বোমাবাজির শব্দ পাওয়া যায় না।’’ ভোট বাতিল করে দেওয়ার বিষয়ে শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএম এখানে ভুয়ো ভোটার বানিয়ে রেখেছিল। যাঁরা এখানকার বাসিন্দাই নন, রেশন কার্ড নেই, তাঁরাও ভোট দিতেন। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তদন্ত করে ওই সব নাম বাদ দিয়েছে। কোনও দল ওই কাজ পারে না।’’

২০১০ সালের পুর নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ৫টি আসন। তারা জয়ী হয়েছিল, ৪, ৭, ৮, ৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। কিন্তু পরবর্তী বিধানসভা, লোকসভা বা লোকসভার উপ নির্বাচনে সিপিএম তথা বামেদের শক্তি এখানে ক্রমশ ফিকে হতে হতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেখান থেকে এ বারের পুর ভোটে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারাটা সিপিএম নেতৃত্বের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্চ।

প্রাক্তন পুর প্রধান বাপিবাবু ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁর ওয়ার্ডটি এ বার তপসিলি সাধারণ হওয়ার তিনি দাঁড়াতে পারেননি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর অশোক দাস কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময় এলাকায় বাইরে থাকেন বলে ওয়ার্ডে বেশি সময় দিতে পারেন না। সেই যুক্তিতে দল তাঁকে এ বার প্রার্থী করেনি। বাকি তিন জন বিদায়ী কাউন্সিলর এ বারও প্রার্থী হয়েছেন। সিপিআই এ বার প্রার্থী দিয়েছে ৪টি ওয়ার্ডে। সেগুলি হল ৬, ১২, ১৩ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। ২, ৩, ১৬ নম্বরে ওয়ার্ডে বামেরা নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী অরুণ সিংহ। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী পূর্ণিমা মণ্ডলের বাড়ি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। নিচুতলার সিপিআই কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীদের ওয়ার্ডে সিপিএম ঠিক মতো প্রচারে গা লাগাচ্ছে না। যদিও অরুণবাবু তা মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ওয়ার্ডে বাম ঐক্য মজবুত। সিপিএমের সকলকে পাওয়া যাচ্ছে প্রচারে।’’ এক বাম কর্মীর কটাক্ষ, ‘‘ভোটের মুখে ওই কথা না বলে সিপিআই প্রার্থীদের কী আর করার আছে।’’ চার জনের মধ্যে দুই জন প্রার্থী সিপিএম কর্মী। এক সিপিএম নেতাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘আমাদের আগে জানালে আমরাই আরও প্রার্থী খুঁজে দিতে পারতাম।’’

বিজেপি এ বার ১৬টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। ১৬ জনই নতুন মুখ। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মহাদেব পাল। জেতার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে প্রচণ্ড ভয়ে আছেন বলে জানালেন। গোবরডাঙা শহর যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কৌশিক ব্যাপারী বলেন, ‘‘৮ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু ভয় দেখিয়ে আমাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের প্রচার প্রক্রিয়া থেকে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’

কংগ্রেস এ বার ১১, ৭ ও ৬ নম্বরে ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তারা প্রার্থী দিয়েছিল। তৃণমূল নাকি ভয় দেখিয়ে তাকে প্রার্থিপদ তুলে নিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতা তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পবিত্র সমাদ্দারের। তিনিও ভোটে সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছেন। সব শুনে তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ, ‘‘বাস্তবে ভোটের আগেই ওরা হেরে গিয়েছে। সেটা বুঝতে পেরেই নিজেদের সম্মান বাঁচাতে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে।’’

সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে চাপানউতোরের পাশাপাশি চলছে উন্নয়ন নিয়ে তরজা। আধুনিক টাউন হল এখনও গড়ে না ওঠায় নানা চাপানউতোর আছে সব পক্ষের মধ্যে। তবে কাজ না হওয়ায় সব দলেরই উপরে ক্ষোভ আছে নাগরিকদের। এ দিকে, লিফলেট বিলি করে বামেদের পক্ষ থেকে পুরবাসীর কাছে প্রচার করা হচ্ছে, ‘‘ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায় কাটল পাঁচটি বছর। এ বার মিলিয়ে নেওয়ার পালা কী পেলাম, কী পেলাম না।’’ বাম পরিচালিত বিগত পুরবোর্ডের পুরপ্রধান সিপিএমের বাপি ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড পাঁচ বছরে শহরের জন্য কোনও স্থায়ী মৌলিক উন্নয়ন করেনি। এলাকার যা কিছু উন্নয়ন দেখছেন, তা আমাদের সময়েই হয়েছে।’’

পাল্টা তৃণমূলের তরফেও প্রচারে উন্নয়নকে হাতিয়ার করা হচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, রাস্তা-আলো, জল নিকাশি ব্যবস্থা ও পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্পগুলি সঠিক সময়ে মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার আর্থিক অনুদান ছাড়াই শ্মশানঘাটের আমূল সংস্কার করা হয়েছে। তালিকাটা দীর্ঘ। বিদায়ী পুরপ্রধান সুভাষবাবু বলেন, ‘‘পুরপ্রধান হিসাবে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম রাস্তা-আলো-পানীয় জলের উপরে। বেশির ভাগ কাজ শেষ করেছি। আর সব থেকে বড় সাফল্য, এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পুরবাসীকে দিতে পেরেছি।’’

বিরোধীরা অবশ্য ওই শান্তিকে ‘শ্মশানের শান্তি’ হিসাবে কটাক্ষ করছেন। উদাহরণ হিসাবে কিছু ঘটনার কথা তুলে ধরছেন তাঁরা। সিপিএমের দাবি, গোবরডাঙা স্টেশন চত্বরে গুলি করে দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী বরুণ বিশ্বাসকে। স্টেশন চত্বরেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল কানা বুড়ো নামে একজনকে। কিছু দিন আগে সন্ধ্যায় গুলি-বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ছিল।

তৃণমূল নেতা শঙ্কর দত্ত জানিয়েছেন, ‘‘বরুণের খুনের ঘটনাটি বাইরে থেকে এসে ঘটানো হয়েছিল। এখানকার কোনও ঘটনা নয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সিপিএমের আমলে এখানে খুন-বোমাবাজি-তোলাবাজি নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। উজ্জ্বল, শ্রীনাথ, রতন, সোনাইদের মতো দুষ্কৃতীরা সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকাটিকে অশান্ত করে তুলেছিল।’’ তাঁদের আমলে কোনও দুষ্কৃতীকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি বলে পাল্টা দাবি বামেদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement