Bagda

তৃণমূলে যোগ দিয়ে মিলল শাড়ি-ধুতি, সমালোচনা বিরোধীদের

শনিবার বাগদা ব্লকের পুরাতন হেলেঞ্চার এই ঘটনায় সমালোচনা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। উপঢৌকন দিয়ে পরিবারগুলিকে দলে টানা হয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, লকডাউন পরিস্থিতিতে গরিব পরিবারের পাশে আছেন তাঁরা।

Advertisement

নির্মাল্য প্রামাণিক

বাগদা  শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০১:০৫
Share:

জোড়হাতে। নিজস্ব চিত্র

পুরুষদের জন্য ধুতি-গামছা, মহিলাদের জন্য শাড়ি— তৃণমূলে নাম লিখিয়ে এই উপহার পেলেন পঞ্চাশটি দরিদ্র পরিবারের মানুষজন। সকলে বিজেপি-সিপিএম ছেড়ে তাঁদের দলে এলেন বলে দাবি করেছে শাসকদল।

Advertisement

শনিবার বাগদা ব্লকের পুরাতন হেলেঞ্চার এই ঘটনায় সমালোচনা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। উপঢৌকন দিয়ে পরিবারগুলিকে দলে টানা হয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, লকডাউন পরিস্থিতিতে গরিব পরিবারের পাশে আছেন তাঁরা। সে কারণেই দেওয়া হয়েছে ধুতি-শাড়ি।

শনিবার সন্ধ্যায় দলবদলের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল সভাপতি অঘোর হালদার ও হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না বিশ্বাস। আদিবাসী সম্প্রদায়ের শ’খানেক মানুষের হাতে ধুতি-শাড়ি ছাড়াও মাস্ক, গামছা, গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

বিজেপির দাবি, গরিব আদিবাসীদের শাড়ি-ধুতির লোভ দেখিয়ে দলে টানছে তৃণমূল। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে এই এলাকায় বিজেপি তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল। এ বার পরিস্থিতি খারাপ বুঝে তৃণমূল লোভ দেখিয়ে গরিব আদিবাসীদের দলে টানতে চাইছে।’’ ঘটনার সমালোচনা করেছে সিপিএমও।

যদিও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য পরিতোষ সাহা বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময়ে আদিবাসীদের সহযোগিতা করা হয়। করোনা-আবহে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আগেও তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি। তৃণমূলের কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে দলে টানার প্রয়োজন হয় না।’’ তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সামিল হতে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছে ওই পরিাবারগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement