Canning

ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই কি তরুণী খুন, ধোঁয়াশা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ওই তরুণী। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মারুফ তার বন্ধু চাঁদু পিয়াদার ফোন থেকে ফোন করে ঢুঁড়ি বাজারে তরুণীকে ডেকে আনে।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:১৬
Share:

গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র

ক্যানিংয়ে তরুণী খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। রবিবার সকালে ক্যানিংয়ের মাতলা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় মারুফ মোল্লা ও সামিম গায়েন নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের ধারণা, ত্রিকোণ প্রেমের জন্যই বছর আঠেরোর ওই তরুণীকে খুন হতে হল। তবে খুনের সঠিক কারণ জানতে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ওই তরুণী। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মারুফ তার বন্ধু চাঁদু পিয়াদার ফোন থেকে ফোন করে ঢুঁড়ি বাজারে তরুণীকে ডেকে আনে। সেখান থেকে সামিমের বাইকে করে ক্যানিংয়ের দিকে চলে যান তরুণী। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ক্যানিং থানায় মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বাবা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মারুফ ভালবাসত ওই তরুণীকে। সে-ও এ বার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য কলেজের ফর্ম ফিলাপ করেছে। কিন্তু ওই তরুণী বা তাঁর পরিবার মারুফের সঙ্গে সম্পর্ক চাননি। এ নিয়ে একাধিকবার মারুফ ও তার পরিবারকে শাসিয়ে এসেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, সামিমের সঙ্গেও তরুণীর আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় থেকে দু’জনের বন্ধুত্ব। ২০১৭ সালে পড়াশোনা ছেড়ে সামিম বাইক সারানোর কাজ শিখতে চলে যায় বারাসতে। মাস তিনেক আগে সে ফিরে এসে এলাকায় একটি গ্যারাজ খোলে। এলাকায় ফেরার পর থেকে তার সঙ্গে তরুণীর নিয়মিত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তরুণীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সামিম।

Advertisement

তবে শনিবার সন্ধ্যায় সে তরুণীকে বাইকে করে নিয়ে আসেনি বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মারুফ অবশ্য জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সামিমের বাইকে করেই তরুণী ঢুঁড়ি বাজার থেকে ক্যানিংয়ের দিকে যান।

ধৃত দু’জনের কথার মধ্যে বিস্তর গোলমাল রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা। তবে তরুণীকে নিয়ে দু’জনের রেষারেষির বিষয়টিও সামনে এসেছে পুলিশের। সে কারণে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও পুলিশি জেরায় এখনও পর্যন্ত দু’জনের কেউই খুনের কথা স্বীকার করেনি। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। অন্য দিকে, যে চাঁদুর ফোন থেকে ফোন করে ওই তরুণীকে ডেকে আনা হয়েছিল ঢুঁড়ি বাজারে, সে ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement