—প্রতীকী চিত্র।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পরে বিহারের পটনার দানাপুর থেকে বারাসতের কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে উদ্ধার করে বারাসত থানার পুলিশ। এর পরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মেয়েটির বাড়ির লোকজন। পুলিশের কাছে কিশোরীর দাবি, পরিবারে অশান্তি এবং বাবার অপবাদের কারণেই বাড়ি ছেড়েছিল সে।
গত শনিবার অফিসের টাকার হিসাবে গরমিল হওয়ায় কথা কাটাকাটি চলাকালীন ১২ বছরের মেয়েটিকে ‘চোর’ বলেছিলেন তার বাবা। কিশোরীর দাবি, ওই দিনই প্রথম নয়। কয়েক মাস ধরেই বাবা তাকে চোর অপবাদ দিচ্ছিলেন। তাই গোপনে বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। যোগাযোগ করেছিল পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে। শনিবারের ঘটনার পরে বাবার উপরে রাগ করে চিঠি লিখে রেখে রবিবার সকালে বাড়ি ছাড়ে সে। পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী।
সে দিন বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস পাননি পরিবারের লোকজন। বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্তে নেমে কিশোরীর মোবাইলের ‘কল হিস্ট্রি’ খতিয়ে দেখে পুলিশ। বাড়ি ছাড়ার আগে শেষ দু’দিনে যাঁদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল, তাঁদের মোবাইলের অবস্থান ট্র্যাক করে বিহারের পটনায় পৌঁছয় বারাসত থানার একটি তদন্তকারী দল। ওই সময়ে সঙ্গে ছিলেন কিশোরীর বাবাও। বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালেই দানাপুর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, উদ্ধারের পরে কিশোরী দাবি করেছে, বাড়িতে বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি তার সহ্য হত না। এ ছাড়া, তার বাবা বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা ধার করতেন এবং তার মায়ের থেকেও জোর করে টাকা নিতেন বলে কিশোরীর দাবি। টাকা না পেলে মাকে বাবা মারতেন বলেও অভিযোগ করেছে মেয়েটি। পুলিশের কাছে তার আরও দাবি, অফিসের টাকা তার বাবা নিজেই সরিয়ে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলেন। এর আগেও টাকার হিসাব না মেলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই কিশোরীর সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখছে।