Crime Cases

শ্রীঘরে পুলিশ অফিসার

পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে নদিয়ায় কর্মরত থাকাকালীন জয়ন্তর বিরুদ্ধে ভুয়ো মেল আই ডি ব্যবহার করে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৫:১৩
Share:

জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

পুলিশ সুপারের নামে ই-মেল আইডি থেকে চাকরির চিঠি গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের এক যুবকের কাছে। বেশ কয়েক বছর আগে পুলিশের চাকরির জন্য পরীক্ষা দিলেও কৃতকার্য হননি তিনি। নতুন করে বসিরহাট পুলিশ জেলায় চাকরির প্রস্তাব পেয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন তিনি। খোঁজখবর করতে গিয়ে জালিয়াতির সন্ধান পায় পুলিশ।

Advertisement

এই ঘটনা জানার পরে বসিরহাট থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করে। বুধবার পুলিশ জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরকে গ্রেফতার করে। জয়ন্ত বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের দফতরেই কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে নদিয়ায় থাকার সময়ে এমনই প্রতারণার অভিযোগে ধরা পড়ে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর। সেই মামলা এখনও চলছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “ওই পুলিশ অফিসার বসিরহাটের পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো ই-মেল আইডি তৈরি করেছিলেন। সেই আইডি থেকে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের প্রসন্ন বসাক নামের এক যুবককে সাব ইন্সপেক্টরের পদে চাকরির প্রস্তাব দিয়ে মেল করেছিলেন।”

পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে নদিয়ায় কর্মরত থাকাকালীন জয়ন্তর বিরুদ্ধে ভুয়ো মেল আই ডি ব্যবহার করে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তিন মাস জেলও খেটেছিলেন। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরিজনদের আবেদনের ভিত্তিতে উপরমহল থেকে শর্তসাপেক্ষে পুনর্বহাল করা হয় তাঁকে। নদিয়া থেকে বারাসত থানা হয়ে বছরখানেক আগে বসিরহাট পুলিশ জেলায় বদলি হয়ে আসেন তিনি। পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যে ৬-৭ জনের খোঁজ মিলেছে, যাঁরা চাকরির জন্য জয়ন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাদনঘাটের প্রসন্নকে মেল পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, আগে তিনি যে সাব ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে তাঁকে বসিরহাট পুলিশ জেলায় নিয়োগ করা হবে। তিনি চাইলে কাজে যোগ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিসের জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সন্দেহ হওয়ায় নাদনঘাট থানাকে বিষয়টি জানান প্রসন্ন। নাদনঘাট থানার একটি দল বুধবার সেই ই-মেলের প্রমাণপত্র বসিরহাট থানায় পৌঁছে দেয়। জয়ন্ত নিজের দোষ কবুল করে বলে পুলিশের দাবি। তবে কারও কাছ থেকে টাকা নেননি বলেও দাবি করেছেন। তা হলে কেন এতজনকে চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ই-মেল পাঠালেন। পুলিশের দাবি, তার জবাব দিতে পারেননি তিনি। জয়ন্তের সঙ্গে আর কেউ এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement