—প্রতীকী চিত্র।
বড়সড় অনলাইন-প্রতারণা চক্রের হদিস পেল পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কামালগাজি বাইপাস সংলগ্ন একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে চলছিল ওই চক্র। রীতিমতো অফিস খুলে বসা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সেই ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, শতাধিক কম্পিউটার-সহ প্রচুর জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাট থেকে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার চালানো হত। ভারতের বাইরে একাধিক দেশে জাল বিছিয়েছিল প্রতারণা-চক্রটি। ভুয়ো অনলাইন বিপণন সংস্থা খুলে কম দামে নামী ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র বিক্রির টোপ দিত জালিয়াতেরা। ক্রেতারা জিনিস কেনার জন্য টাকা পাঠালেও শেষ পর্যন্ত তা মিলত না। আরও অভিযোগ, বিদেশি ক্রেতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়েও প্রতারণা করা হত।
সোমবার ওই অফিসে যৌথ অভিযান চালায় বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন’স গ্রুপ, সাইবার প্রতারণা দফতর ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ৭০ জনেরও বেশি কর্মী ওই সংস্থায় কাজ করত বলে আপাতত জানা গিয়েছে। পুলিশি অভিযানে কয়েক জন পালায়। প্রায় ৩০ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অফিসটি থেকে পাওয়া কম্পিউটার ও সফটওয়্যার খতিয়ে দেখে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, ‘‘বাজেয়াপ্ত হওয়া কম্পিউটার এবং অন্যান্য জিনিস ‘আনলক’ করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তদের দ্বারা কারা কারা প্রতারিত হয়েছেন, কত টাকার লেনদেন হয়েছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চক্রের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, তা-ও আমরা দেখছি।’’