কবর থেকে তোলা হচ্ছে দেহাবশেষ। নিজস্ব চিত্র
জলে ডুবে মৃত্যু না খুন? বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে কবর খুঁড়ে ছ’বছরের শিশুর দেহাবশেষ তুলে তা পাঠানো হল ময়নাতদন্তের জন্য। সোমবার এই ঘটনা বারুইপুরের সূর্যপুর নাচনগাছায়।
সোমবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে জয়নগর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছিলেন, বারুইপুরের বিডিও মোশারফ হোসেন-সহ জয়নগর এবং বারুইপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। জয়নগর থানার গোচরণের কাঁটাপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছটু নস্করের অভিযোগ, তাঁর ছেলে অনুরাগ নস্করের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ জুন জয়নগরের বুড়ো শিবতলা এলাকায় নিজে জ্যেঠতুতো দিদির বাড়িতে বেড়াতে যায় অনুরাগ। তার বাবার দাবি, ‘‘গত ১০ জুন ভাইঝি ফোন করে জানায় ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছু ক্ষণ পর আবার ফোন করে বলে আমার ছেলে পুকুরে ভাসছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। দেখি পুকুরপাড়ে দেহ আর জলে পা রয়েছে। এর পর ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু ভাইঝি এবং তার স্বামী জোর করে ছেলের দেহ সূর্যপুর শ্মশানে কবর দেয়। এতেই আমাদের সন্দেহ হয়।’’ ছটু বলছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই ওদের সঙ্গে আমাদের শরিকি ঝামেলা চলছে। এই কারণেই ওরা আমার ছেলেকে খুন করেছে।’’
এ নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘ছটু নস্কর তার ছেলের মৃত্যু অস্বাভাবিক হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল। ময়নাতদন্তের পরই আসল কারণ জানা যাবে।’’