পুড়ে যাওয়া দলীয় কার্যালয় দেখছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। — ফাইল চিত্র।
ভাঙড়ের হাতিশালায় ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমুলের বুথ সভাপতি-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। ভাঙড়কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আইএসএফ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ এই প্রথম। ধৃত ৫ জনের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর মহকুমা আদালত।
ধৃত বুথ সভাপতির নাম আজগর আলি মিদ্যা। এ ছাড়াও অন্যান্য ধৃতরা হলেন মকসুদ মোল্লা, হাকিম মিদ্যা, সইমুদ্দিন মোল্লা এবং মিজানুর রহমান। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে হাতিশালা, জিরেনগাছা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। ঘটনার দিন হাতিশালা মোড়ের সিসি ক্যামেরা এবং বেশ কিছু সংগৃহীত ভিডিয়ো দেখে ওই ৫ জনকে প্রাথমিক ভাবে আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের ডিসি গৌরব লাল।
গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষই একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে থাকে। তার জেরে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ কয়েক জন আইএসএফ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রতিবাদে ওই দিনই ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল আইএসএফ। সেখানেও আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ভাঙচুর চালায় বলে পুলিশের অভিযোগ। তার পর থেকে এলাকায় চলছে পুলিশি অভিযান। ওই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন আইএসএফ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।