শূন্যে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ধৃত দুই যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
মালদহের মানিকচকের পর এ বার উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি। শূন্যে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের ধরল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শিবদাসপুর থানা এলাকার ভবাগাছিতে। শীতের মরসুমে বন্ধুরা মিলে পিকনিক করার পরিকল্পনা করেছিলেন একদল যুবক। পিকনিকে সকলে নিজেদের মতো আনন্দে মেতেছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই তখন দুই যুবক কোমরে গোঁজা বন্দুক বার করে শূন্যে গুলি ছোড়েন। এক বার নয়, পর পর কয়েক বার গুলি চালান তাঁরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই অভিযুক্তদের ধরে রেখে খবর দেন পুলিশকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শিবদাসপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম সুরজিৎ হালদার এবং প্রদীপ বর্মণ। তাঁদের থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে জেরা করে পুলিশ। জেরায় তাঁরা স্বীকার করেন, পিকনিকে মজার ছলেই শূন্যে গুলি ছুড়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৭ এমএমের দু’টি বন্দুক উদ্ধার করেছে। কোথা থেকে তাঁরা বন্দুক পেলেন, লাইসেন্স আছে কি না, পিকনিকে কেন বন্দুক নিয়ে গিয়েছিলেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগেই মানিকচকে ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করতে শূন্যে গুলি ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। মানিকচকের নুরপুর এলাকার একটি ক্লাবে ২৩ জানুয়ারি একটি ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, খেলার উদ্বোধন হয় শূন্যে গুলি ছুড়ে। কয়েক জন যুবক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হাতে বন্দুক নিয়ে। তাঁরা যখন গুলি চালান, তখন উপস্থিত দর্শকেরা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ঘটনার পর এফআইআর দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনাপ্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাঁদের নামে ওই আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। যদি লাইসেন্স ধারকেরা গুলি চালিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকাশ্যে এ ভাবে গুলি চালানো নিয়ম-বহির্ভূত। তবে ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।