Belgharia Lynching Incident

আড়িয়াদহে মা ও পুত্রকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত, চার দিনের মাথায় পুলিশি জালে

রবিবার আড়িয়াদহে দুই যুবকের ব্যক্তিগত ঝামেলার মধ্যে স্থানীয় দুষ্কৃতী জয়ন্ত সিংহ ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, সায়নদীপ পাঁজা ও তাঁর মা বুবুন পাঁজাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বেলঘরিয়া শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১১:৩১
Share:

জয়ন্ত সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহে মা ও পুত্রকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংহ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডানলপের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই) নিকটবর্তী এলাকা থেকে জয়ন্তকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জয়ন্তকে নিয়ে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা হল ৯।

Advertisement

রবিবার আড়িয়াদহে দুই যুবকের ব্যক্তিগত ঝামেলার মধ্যে স্থানীয় দুষ্কৃতী জয়ন্ত সিংহ ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, সায়নদীপ পাঁজা ও তাঁর মা বুবুন পাঁজাকে রাস্তায় ফেলে হকি স্টিক, লাঠি, ইট দিয়ে জয়ন্তের দলবল মারধর করে। এই ঘটনায় প্রথমে ছ’জন ও বুধবার জয়ন্তের ঘনিষ্ঠ সৈকত মান্না ওরফে জঙ্ঘাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অধরা ছিলেন জয়ন্ত।

জয়ন্তের বিরুদ্ধে আগেও নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশ এবং বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, জয়ন্ত কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ। মদন এবং মদনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জয়ন্তের বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও সে সবের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন )। জয়ন্তকে নিয়ে মদন এবং দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাগ্‌যুদ্ধও শুরু হয়। সৌগত জয়ন্তকে সরাসরি ‘সমাজবিরোধী’ বলে অভিহিত করেন। বুধবার সৌগতের সঙ্গে জয়ন্তের একটি ছবি প্রকাশ্যে আনেন মদন (এই ছবিরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)

Advertisement

জয়ন্তের মাথায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাত থাকার অভিযোগ আগেই তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। বৃহস্পতিবার জয়ন্তের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়ায় বিরোধী দলগুলি। শাসক তৃণমূলকে তোপ দাগে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে সমাজবিরোধীরাই পুলিশ-প্রশাসনকে পরিচালনা করছে। আর সমাজবিরোধীদের মদত দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনই পারে দলের রং না দেখে অভিযুক্ত কিংবা অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement