Couple arrested

নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ, নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার দম্পতি

থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে তদন্তে নেমে পুলিশ মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করতে শুরু করে। দেখা যায়, সোনারপুর এলাকায় রয়েছে নাবালিকা। তার পর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩০
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

১১ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দম্পতি৷ গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতার বাবা- মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার বলে জানা গিয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে সে দিন রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তার পরিবারের সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় ভাড়া থাকত ৷ তাদেরই প্রতিবেশী হিসাবে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত দম্পতি ৷ অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে এই ঘটনায় অন্যতম ধৃত সুমিত্রা মণ্ডল নির্যাতিতা নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে যান। তার পর সুমিত্রা বাড়ি ফিরে এলেও নির্যাতিতা ফেরেনি ৷ পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করতে শুরু করে। তিন দিন পর দেখা যায়, সোনারপুরের খেয়াদহ এলাকায় ঘোরাফেরা করছে মোবাইলটি। পুলিশ সরেজমিনে সেখানে গিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। দেখা যায়, সুমিত্রার স্বামী আকাশই আটকে রেখেছিলেন নাবালিকাকে। আকাশ এবং সুমিত্রাকে গ্রেফতার করা হয়।

নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ৷ ধর্ষণের অভিযোগও করেছেন তিনি। অভিযুক্তরা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ মূল অভিযুক্ত আকাশ জানান, নির্যাতিতা স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন ৷ নাবালিকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি আকাশের। অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement