সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি। — ফাইল ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ইডির আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও দু’জন। এ নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ৪ জন।
গত শুক্রবার রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। সেখানে গিয়ে তারা বিক্ষোভের মুখে পড়ে। গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ওই দিন শাহজাহানের দেখা পায়নি ইডি। ইডির দাবি, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন ৮০০ থেকে ১০০০ লোক। সকলেই তৃণমূল নেতার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়।
ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। সেই শাহজাহানের পাত্তা এখনও পায়নি পুলিশ বা ইডি। কিন্তু ইডির উপর হামলার ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রবিবার জানা গেল, এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আরও দু’জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম আলি হোসেন ঘরামি এবং সঞ্জয় মণ্ডল। মিনাখাঁর খড়িবেরিয়া থেকে আলি হোসেনকে এবং ন্যাজাট থেকে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ইডির উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল চার জন। যদিও ঘটনার পর টানা ৯ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা শাহজাহান।