জীবন-যোদ্ধা: এ ভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে বাপি। মঙ্গলবার পরীক্ষাকেন্দ্রে। ছবি: দিলীপ নস্কর
জন্মের পর থেকেই দুটো পা, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অচল। হাতটুকু কোনও মতে নাড়াচড়া করতে পারে বাপি ফকির। উঠে বসতেও পারে না। এই অবস্থায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ডিহিকলস হাইস্কুল থেকে সে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র মগরাহাট অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইন্সটিটিউশন। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম দিন মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয় সে। পরীক্ষা দেয় বেঞ্চে কাত হয়ে শুয়ে। মা সেরিনা বলেন, ‘‘রোগ সারাতে বহু হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছি। লাভ হয়নি। ইদানীং আবার একপাশ ফিরে শুয়ে থেকে ঠান্ডা লেগে একটা কানে শুনতে পাচ্ছে না। চিকিৎসক বলেছেন, কানে যন্ত্র বসাতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। ওর বাবা দর্জির কাজ করেন। অত টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’’ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরউদ্দিন গায়েন বলেন, ‘‘ওই ছাত্রের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। নিয়ম মেনে ৪৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’’ প্রথম দিন পরীক্ষা ভালই হয়েছে বলে জানিয়েছে বাপি।