পেট্রল পাম্পে তদন্তে এলেন পুলিশ কর্তারা
মালিকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে পেট্রল পাম্পের টাকা লুট করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার ভোজেরহাটের চড়িশ্বরের একটি পেট্রোল পাম্পে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ১১টা নাগাদ ওই পাম্পের অদূরে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে নেমে চার যুবক রাস্তা পার হয়ে পাম্পে ঢোকে। পাম্পের লোকজনের কাছে তারা জানতে চায়, শৌচালয় কোন দিকে। তারপরে সে দিকে চলে যায়। পরে সেখান থেকে ঘুরে তারা সরাসরি ঢুকে পড়ে পাম্পের অফিস ঘরে। সে সময়ে পাম্পের মালিক নুর ইসলাম টাকা-পয়সার হিসেব করছিলেন। মালিকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ক্যাশ বাক্সের চাবি চায় দুষ্কৃতীরা। নুর কথা বাড়াননি। বিপদ বুঝে চাবি দিয়ে দেন। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে সকলের সামনে দিয়েই হেঁটে রাস্তা পার হয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। গাড়িতে উঠে হাতিশালার দিকে চলে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। আইসি স্বরূপকান্তি পাহাড়ি ছাড়াও পরে আসেন কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার গৌরভ লাল। পুলিশ আধিকারিকেরা পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। দেখা যায়, ২২-২৫ বছরের ওই চার যুবকের পরনে ছিল প্যান্ট, শার্ট, স্নিকার্স। মাস্ক পরা ছিল সকলেরই। দু’জনের মাথায় টুপি। তবে সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের হেঁটে পেট্রল পাম্পে ঢুকতে দেখা গেলেও তারা যে গাড়িতে এসেছিল, তা দেখতে পাওয়া যায়নি। প্রত্যেকের মুখ ঢাকা থাকায় তাদের চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। রাতেই পুলিশ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়। বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
গোটা ঘটনায় হতবাক নুর। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেগুলোকে দেখে একবারের জন্যও দুষ্কৃতী মনে হয়নি। হঠাৎ সামনে এসে আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেল। প্রাণের ভয়ে বাধা দেওয়ার সাহস পাইনি।’’
কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি স্বরূপকান্তি পাহাড়ি বলেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু সূত্র পেয়েছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশপাশের বিভিন্ন থানাকে সিসিটিভির ফুটেজ পাঠান হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারব।’’