বিপজ্জনক: নজরদারির অভাব স্পষ্ট। ছবি: সুমন সাহা
বেশ কিছু দিন ধরেই সেতুর অবস্থা খারাপ। জেলাশাসকের তরফে সেতুর আগে-পরে ফ্লেক্স টাঙিয়ে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী, বিকল্প হিসেবে পাশেই একটি সেতুও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই সূর্যপুর সেতু দিয়ে অবাধে বড় গাড়ি যাতায়াত করছে। প্রশাসনের তরফে নজরদারি নেই বলে অভিযোগ।
দৈর্ঘ্যে ছোটো হলেও বারুইপুর-জয়নগর রোডের উপরে সূর্যপুরে এই সেতুর গুরুত্ব কম নয়। ছোট বড় মিলিয়ে সারা দিনে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। মাস কয়েক আগে মাঝ বরাবর ফাটল ধরে সেতুর। লোহার পাত দিয়ে সাময়িক ভাবে তা মেরামত হয়।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি সেতুর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হবে। সে কারণেই পাশে একটি বিকল্প সেতুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কমজোরি সেতুর উপরে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বড় বড় গাড়ি চলায়, আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মনে।
সূর্যপুরের এই সেতুর পাশেই দোকান ইরান আলি লস্করের। তাঁর কথায়, ‘‘বছরখানেক আগে অপরিকল্পিত ভাবে সেতুর দু’দিকে রেলিং দেওয়া হয়। তার কিছু দিন পরেই রাস্তার মাঝ বরাবর ফাটল ধরে। লোহার পাত দিয়ে তাপ্পি দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেতুর অবস্থা ভাল নয়। তার উপরে এ ভাবে বড় বড় গাড়ি চলছে। যে কোনও দিন বিপদ ঘটতে পারে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাশে বিকল্প সেতু তৈরি হয়েছে বটে। কিন্তু সেই পথ অধিকাংশ গাড়ি চালক জানেনই না। ফলে বড় গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফেস্টুন টাঙানো হলেও সকলে প্রধান রাস্তা দিয়ে ওই কমজোরি সেতু পেরিয়েই যাতায়াত করছেন। প্রশাসনের তরফে এ ব্যাপারে নজর নেই বলেই অভিযোগ।
স্থানীয় যুবক সফিকুল বলেন, ‘‘পাশে রাস্তা হয়েছে। কিন্তু গাড়ি চালকেরা তা জানবেন কী ভাবে? আমরা স্থানীয় ছেলেরা কোনও কোনও গাড়িকে ঘুরিয়ে দিই। কিন্তু সব সময়ে সেটা সম্ভব হয় না। বাকিরা সোজা পথেই যায়। প্রশাসনের তরফে এখানে কাউকে রাখা দরকার।’’
পূর্ত দফতরের বাস্তুকার অরুণ নাথ বলেন, ‘‘সেতুটি সংস্কার করা হবে। আপাতত সেতুর উপরে ভার কমাতেই পাশে বিকল্প সেতু দিয়ে বড় গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেতুর আগে পরে রাস্তায় একাধিক ফ্লেক্স, ফেস্টুন টাঙিয়ে গাড়ি চালকদের ওই সেতু না ব্যবহারের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। তা-ও কিছু চালক হয় তো বিষয়টা মানছেন না। প্রশাসনের তরফে নজরদারি বাড়ানো হবে।’’