অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বৃদ্ধার। প্রতীকী চিত্র।
গ্যাস জ্বালতেই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটল বাড়িতে। তার জেরে পুড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের হেরম্ব-গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধাইমোড়ের কাছে। মৃত বৃদ্ধার নাম জ্যোৎস্না মাইতি (৬৫)। তিনি হেরম্ব-গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বনমালী ঘোড়ুইয়ের শাশুড়ি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। কী কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুনে বাড়িটির একাংশ পুড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেরম্ব-গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বনমালীর বাড়িতে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে মঙ্গলবার রাতে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় রান্না করছিলেন প্রাক্তন প্রধানের শাশুড়ি জ্যোৎস্না। বনমালীর পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জ্যোৎস্না সেই সময় রান্নাঘরে গ্যাস জ্বালিয়ে রান্না করছিলেন। সেই সময় আচমকা গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস বার হতে শুরু করে। নিমেষে আগুন ধরে যায় রান্নাঘরে। এর মাঝেই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরে গুরুতর জখম হন জ্যোৎস্না। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন আশপাশের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের তৎপরতায় ওই বৃদ্ধাকে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। জ্যোৎস্নাকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু তাঁর শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বুধবার সকালের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
বনমালীর বাড়িতে আগুন ধরে যেতে দেখে তা আয়ত্তে আনার কাজ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জল ছিটিয়ে আগুন নেভান। কিন্তু দোতলা বাড়িটির একাংশ পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। গোটা এলাকা তখনকার মতো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ নিয়ে জন্মেঞ্জয় মণ্ডল নামে জ্যোৎস্নার এক আত্মীয় বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। দেখি আগুনে জ্বলছে দোতলা বাড়ির একাংশ। পাড়ার সবাই মিলে গিয়ে বাড়ি থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করি। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হল না।’’