পুলিশের জালে চার দুষ্কৃতী। প্রতীকী চিত্র।
এক জনকে খুনের ছক কষার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতিকে। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। পুলিশের দাবি, তৃণমূলের ওই প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর তিন সঙ্গী গাড়ি চড়ে খুন করতে যাওয়ার সময় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এও দাবি, ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে খুনের ছক কষার কথা। তৃণমূলের দাবি, ধৃতকে চার বছর আগে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে।
ক্যানিং থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় এক জনকে খুনের ছক কষছিলেন খলিল আলি মোল্লা, রমজান মোল্লা, আমিনুদ্দিন মোল্লা এবং নজরুল লস্কর নামে চার জন। রবিবার রাতে তাঁরা গাড়ি চড়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, রবিবার রাতেই তাঁরা খুন করার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। তাঁদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ৬টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘‘আমাদের কাছে গত কয়েক দিন ধরে খবর আসছিল যে, এলাকার কয়েক জন দুষ্কৃতী এক জনকে খুনের পরিকল্পনা করছে। আমরা জানতে পারি, রবিবার সন্ধ্যায় সেই খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আমরা সেই খবরের ভিত্তিতে খলিল আলি মোল্লা, রমজান মোল্লা, আমিনুদ্দিন মোল্লা এবং নজরুল লস্কর এই চার জনকে গ্রেফতার করেছি। এদের থেকে বড় দা, গুলি ভর্তি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তারা গাড়িতে ছিল। নিজেরাই খুনের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। ওদের কাছে যে টাকা ছিল, তা কাদের দেওয়া হত তা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জানতে চাই।’’ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জের করতে চায় পুলিশ। তবে ধৃতরা কাকে খুনের ছক কষেছিল, তা তদন্তের স্বার্থে এখনি বলতে চায়নি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে একটি খুনের ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে খলিল-সহ তিন জন যুক্ত ছিল। এ নিয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘খলিল এক সময় তৃণমূল দল করত। কিন্তু চার বছর আগে দলের এক কর্মী, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ও এক জন দাগি আসামি। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’