নিহত শেখ সাহিল। —নিজস্ব চিত্র।
জঞ্জালের স্তূপ থেকে ধাতব কৌটো কুড়িয়ে বাড়িতে এনেছিলেন দাদু। সেই কৌটো হাতে নিয়ে দেখার সময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হল নাতির। শনিবারের ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের রহড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে রহড়া এলাকায়। তাতে জখম হয় শেখ সাহিল (১৭) নামে এক কিশোর। তাকে প্রথমে ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে সাগর দত্ত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত শাহিলের দাদু আবদুল হামিদ বলেন, ‘‘আমি জানতাম না ওটা বোমা। একটা স্টিলের মতো জিনিস থানার পিছনে ময়লা ফেলার জায়গা থেকে বালতি করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। ওই জিনিসটা কী তা দেখার জন্য আমার নাতিকে দিয়েছিলাম। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে।’’
শাহিলের বাবা শেখ আবুল পেশায় টোটোচালক। তিনি বলেন, ‘‘বাবা কাগজ কুড়ান। তিনি ওটা কুড়িয়ে এনেছিলেন। ছেলেটা কৌটোর গায়ে জড়ানো টেপ খোলার চেষ্টা করছিল। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বাবা জানতেন না যে ওটা বোমা। ওই বিস্ফোরণে আমার ছেলে মারা গিয়েছে।’’