Bhatpara

Bhatpara: ফের ভাটপাড়ায় বোমাবাজি, মৃত্যু এক জুটমিল শ্রমিকের

ভাটপাড়ার এক নম্বর কুলি লাইন এলাকায় এক জুটমিল শ্রমিককে লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাটপাড়া শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ১৭:১৪
Share:

মৃত জেপি যাদব নিজস্ব চিত্র

ফের উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় বোমাবাজি। ভাটপাড়ার এক নম্বর কুলি লাইন এলাকায় এক জুটমিল শ্রমিককে লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নাম জেপি যাদব। পুলিশ সূত্রে খবর, বোমার আঘাতে তাঁর ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মৃত ব্যক্তিকে তাঁদের সমর্থক বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। ঘটনাস্থলে যান তিনি। তিনি এর পিছনে তৃণমূলের ‘চক্রান্ত’ দেখছেন। তৃণমূল যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, এটা বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল। এদিকে যে দুষ্কৃতী বোমা ছুড়েছিল, সেও জখম হয়েছে। তাকে আটক করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই। প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটছে। বিজেপি কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসন যদি কোনও বিশেষ দল ও বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে, তাহলে এর চেয়ে ভাল কিছু হবে না।’’ পাল্টা জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘‘বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’’

Advertisement

নির্বাচনের পর থেকেই ভাটপাড়া ও জগদ্দলে দুষ্কৃতীদের বোমার লড়াই ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির কাজিয়া অব্যাহত। শুক্রবারও রাতভর বোমাবাজি চলে ভাটপাড়ার পালঘাট রোডের পুরানি বাজারে। দফায় দফায় চলা ওই গোলমাল থামাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের বোমার লক্ষ্য হয়ে যায় পুলিশ। বোমার স্‌প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন ভাটপাড়া থানার দুই পুলিশকর্মী অভিজিৎ ঘোষ ও প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশও শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি চালায় বলে খবর। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অর্জুন সিংহ বিজেপিতে আসার পর থেকেই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে বহুবার। তাঁর পরিবারকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো ব্যারাকপুর লোকসভাতে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। কাল আমাদের হেস্টিং অফিসের সামনে বোমা পাওয়া গেছে। সেনা গোয়েন্দারা খবর দিয়েছিল। পুলিশের কাছে কোনও খবর ছিল না। বোমাশিল্প এখন রাজ্যে কুটিরশিল্প। আর সেটাই বিরোধীদের ধ্বংস করার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement