কমল সিংহ
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হলেন এক রোগী। ২৭ নভেম্বর কমল সিংহ নামে ওই বৃদ্ধ হাসপাতাল থেকে বেপাত্তা হয়ে যান। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধকে খুঁজে বের করার সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, কমলের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলায়। বনগাঁ শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরা ২২ নভেম্বর রাতে বনগাঁ স্টেশনে গিয়েছিলেন দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ করতে। সেখানে তাঁরা দেখতে পান ওই বৃদ্ধকে। বনগাঁ জিআরপি-র সহযোগিতায় তাঁরা বৃদ্ধকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়। সদস্যেরা তাঁকে নতুন জামা-কাপড় কিনে দেন। ৩০ নভেম্বর সংগঠনের সদস্যেরা জানতে পারেন, ২৭ নভেম্বর ওই বৃদ্ধ হাসপাতাল থেকে চলে গিয়েছেন। সংগঠনের সদস্য রুদ্রপ্রসাদ ঘোষ বলেন, ‘‘হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, ২৭ নভেম্বর দুপুরে কমল হাতে স্যালাইনের চ্যানেল ও ব্যাগ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।।’’ মঙ্গলবার সংগঠনের তরফে সুপারের কাছে লিখিত ভাবে ঘটনার তদন্ত দাবি করা হয়েছে। বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরে সংগঠনের সদস্যেরা হ্যাম রেডিয়োর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসকে ঘটনার কথা জানান। ক্লাবের সদস্যেরা ওই বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলে ঠিকানা, নাম খু্ঁজে বের করেন। রেডিয়ো ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ প্রায় কুড়ি বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে আছে। মধ্যপ্রদেশে থাকা হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সদস্যেরা কমলের বাড়ি খুঁজে বের করেন। তাঁর পরিবারের লোকজনকে কমলকে খুঁজে পাওয়ার কথা জানানো হয়। অভিযোগ, কমলের স্ত্রী বনগাঁ হাসপাতালে আসতে চাইলেও পরিবারের তরফে সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। জমিজমা নিয়ে শরিকি বিবাদ রয়েছে। অম্বরীশ বলেন, ‘‘কমলের পরিবারের লোকজন নিতে আসতে দেরি করায় আমরা ওখানকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকেও বিষয়টি জানানো হয়। এক জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয় কমলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এর মধ্যেই তিনি ফের নিখোঁজ হয়ে গেলেন।’’