সিল হচ্ছে একটি নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটার। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও অপারেশন থিয়েটারের ভিতরেই রয়েছে পুজোর সিংহাসন। আবার কোথাও পুরুষ এবং মহিলা রোগীদের রাখা হয়েছে একই ওয়ার্ডে।
উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় নার্সিংহোম থেকে শিশু পাচারের ঘটনায় পরেই এ রাজ্যের নার্সিংহোমগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবার পরিদর্শন চলে কাকদ্বীপের কয়েকটি নার্সিংহোম এবং প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে। সেগুলিতে তল্লাশি চালানোর পরে চোখ কপালে উঠেছে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের। বেশির ভাগ নার্সিংহোমেই নেই ন্যূনতম পরিকাঠামো। এ দিন তল্লাশির পরে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের পাশে কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ভাই জ্ঞানরঞ্জন হালদারের মালিকানাধীন সুন্দরবন মেটার্নিটি নার্সিংহোম-সহ কয়েকটি নার্সিংহোম এবং প্যাথলজি ল্যাবরেটরি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও যোগরঞ্জনবাবুর দাবি, ‘‘ওই নার্সিংহোমের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’’ তাঁর ভাই জ্ঞানরঞ্জনবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি এসএমএসেরও জবাব দেননি।
সোমবারের অভিযান হয় কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট এবং ঢোলাহাট থানা এলাকায়। সঙ্গে ছিল পুলিশ। নার্সিংহোম এবং প্যাথলজি ল্যাবরেটরিগুলিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ প্যাথলজি ল্যাবরেটরির অনুমোদন নেই। কয়েকটিতে নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। রোগী ভর্তির রেজিস্ট্রারেও রয়েছে অনেক গলদ। জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, নার্সিংহোমগুলির লাইসেন্স থাকলেও রোগীভর্তির হিসেব নেই। এর ফলে এই নার্সিংহোমগুলিতে শিশুপাচার হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় রয়েছেন কাকদ্বীপের দায়িত্বে। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার পরিদর্শন করা বেশির ভাগ নার্সিংহোম থেকেই প্রয়োজনীয় নথি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও রয়েছে পরিকাঠামোগত সমস্যা। কয়েকটি নার্সিংহোমে তালা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটির খাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আপাতত এই অভিযান চলবে।’’