প্রতীকী ছবি
মার্চের শেষ সপ্তাহে লকডাউন শুরুর সময় থেকে গত ১৯ জুলাই পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৭। কিন্তু গত চার দিনে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই চার দিনেই মহকুমায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৬৪ জন। এর মধ্যে ৭২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এখনও পর্যন্ত ৯২ জন আক্রান্ত রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ক্যানিং মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত চার দিনে ক্যানিং ১, ক্যানিং ২ ও বাসন্তী ব্লকে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে সংক্রমণ। ক্যানিং ১ ব্লকে এই চার দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। ক্যানিং ২ ব্লকে ১০ জন ও বাসন্তী ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। ক্যানিং ১ ও ক্যানিং ২ ব্লকে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ পেরিয়েছে। বাসন্তী ব্লকও সে দিকেই এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। সংক্রমণ রুখতে একদিকে যেমন বাসন্তীর বেশ কয়েকটি বাজার এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে, তেমনই বেশ কিছু এলাকার মানুষ নিজেদের গ্রামে বা পাড়ার রাস্তার মুখে বাঁশের ব্যারিকেড করেছেন বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে।
ক্যানিং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দু’সপ্তাহের জন্য বাজারে লকডাউন করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ও ক্যানিং বাজার, বাসস্ট্যান্ড সহ বেশ কিছু এলাকাকে কন্টেনমেন্ট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্যানিং মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিমল ডাকুয়া বলেন, “সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। সকলকে আরও বেশি করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।’’
ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক রবিপ্রকাশ মিনা বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। ইতিমধ্যেই ক্যানিং ২ ব্লকে সেফ হাউস তৈরি হয়েছে। বাকি তিনটি ব্লকে ও সেফ হাউস তৈরির প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা হলেই করোনার মোকাবিলা সম্ভব।’’