Sundarbans

সুন্দরবন রক্ষায় নজরদারি কমিটি

মামলার শুনানিতে ৭ ফেব্রুয়ারি নজরদারি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্ব শাখার পাঁচ সদস্যের বিচারকদের কমিটি।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

সুন্দরবন শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৯
Share:

সংরক্ষণ: এই জল-জঙ্গলকে রক্ষা করারই চেষ্টা চলছে। —ফাইল চিত্র

সুন্দরবন রক্ষায় ন’সদস্যের নজরদারি কমিটি গড়ল পরিবেশ আদালত। পরিবেশের ক্ষতি করে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নদীর তীরে বেআইনি নির্মাণ চলছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও, সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে মোটর চালিত জলযানের যথেচ্ছ ব্যবহার, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণেও দিনের পর দিন ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের।

Advertisement

এ বিষয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। সেই মামলার শুনানিতে ৭ ফেব্রুয়ারি নজরদারি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্ব শাখার পাঁচ সদস্যের বিচারকদের কমিটি। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান-সহ ন’জন।

পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি মাসে কমিটিকে অন্তত একটি বৈঠক করতে হবে। সেই বৈঠকের রিপোর্ট আদালতকে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওয়েবসাইটেও আপলোড করতে হবে রিপোর্ট।

Advertisement

সুভাষ বলেন, “দিনের পর দিন সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। উল্টে সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠছে বেআইনি হোটেল, রিসর্ট। সেগুলিকে বৈধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে নির্লজ্জ ভাবে। লাগাতার ধ্বংস হচ্ছে ম্যানগ্রোভ। বেআইনি ভাবে চলছে জলযান। এ রকম চলতে থাকলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন। আর সুন্দরবন ধ্বংস হলে কলকাতার অস্তিত্বও সঙ্কটে পড়বে।” ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, সুন্দরবনের পরিবেশ, পাখি, বন্যপ্রাণ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ উপকূল আইন মেনে চলতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে কোনও ভাবেই সিআরজেড-১ এলাকায় নির্মাণ করা যাবে না। নির্দিষ্ট উপকূল রক্ষার পরিকল্পনা করে বেআইনি হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, সুন্দরবনের বাঘ ও ম্যানগ্রোভ রক্ষার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২১ সালের জুন মাসে আরও একটি নির্দেশিকায় জাতীয় পরিবেশ আদালত বলেছিল, নির্দিষ্ট উপকূল পরিকাঠামো পরিকল্পনা (ইন্ট্রিগেটেড কোস্টাল জ়োন ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট) গ্রহণ করতে হবে। যার মধ্যে দিয়ে এই উপকূলীয় এলাকায় অবৈধ নির্মাণ, ম্যানগ্রোভ নিধনের বিষয়গুলিকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে সবের কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এই মামলার শুনানিতে চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সেই উপকূল পরিকাঠামো পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিকল্পনা তৈরি করে তা কেন্দ্রের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রকেও এ বিষয়ে দু’মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজ্যকে জানাতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement