হাসপাতালে মৃত ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায়। পুলিশ সূত্রের খবর, অম্বিকানগর কদমতলা এলাকার ওই মৃত ছাত্রীর নাম সুমিতা দাস (১২)। শৌচাগারের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গোঙাচ্ছিল। সেই আওয়াজ প্রতিবেশীদের কানে আসতেই শৌচাগারের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা সুমিতাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে।
১২ বছরের স্কুল ছাত্রীর কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা নেই। মা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। দিদার সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকত সুমিতা। বৃহস্পতিবার সকালে পাশের আমবাগানে আম কুড়ানোর জন্য গিয়েছিল সুমিতা। এর পর আমবাগান থেকে দৌড়ে বাড়ি এসে এক প্রতিবেশীরা শৌচাগারে ঢুকে ভিতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয় এবং গোঙাতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, উদ্ধারের সময় সুমিতার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বার হচ্ছিল! মৃত ছাত্রীর শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও একাধিক উপসর্গ দেখে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রাথমিক অনুমান, বিষধর সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে পৌঁছায় পুলিশ। দেগঙ্গা থানা সূত্রের খবর, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।