ছেলে দিল্লিতে বেচে দিয়েছে বোনকে। নিখোঁজ মেয়ের ফোনে এ খবর পেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে যাবেন ঠিক করেছিলেন সাফিরা বিবি (৪২)। ছেলে-বৌমার সঙ্গে তা নিয়ে বচসাও হয়। তবে থানায় যাওয়ার আগেই সাফিরাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সাধুবড়া গ্রামের ঘটনা।
এসডিপিও (বসিরহাট) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছেলে মিজানুর আলিকে খুঁজছে পুলিশ। পুত্রবধূ রূপা বিবিকে প্রতিবেশীরা গণধোলাই দিয়ে তুলে দেন পুলিশের হাতে। তাকে জেরা করা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, সাফিরার বিবাহিতা মেয়ে মাস তিনেক আগে নিখোঁজ হলে থানায় জানানো হয়েছিল। বাবা মাজেদ আলির থেকে তথ্য নিয়ে তাঁর খোঁজ করা হবে।
মাজেদের বয়ান অনুযায়ী, সোমবার রাতে স্ত্রী-র মোবাইলে আচমকা ফোন করেন মেয়ে। ফোনে সাফিরার কাছে সে দাবি করে, সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে ৫০ হাজার টাকায় তাকে নয়াদিল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছে তার দাদা ও কিছু আত্মীয়। মেয়ে কোথায় আছে তা জেনে সাফিরা আশ্বাস দেন পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাকে বাড়ি ফেরাবেন। এর পরই বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলে-বৌয়ের বচসা বাধে। মাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বেরোয় মিজানুর। সেই সময় চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন মাজেদ।
পুলিশকে মাজেদ জানান, চা খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় রূপাকে হন্তদন্ত হয়ে যেতে দেখে জানতে চান, ‘কী হয়েছে?’ “আপনার ছেলে মা-কে মেরে ফেলেছে”, বলে রূপা সরে পড়ার চেষ্টা করে। মাজেদ তাকে আটকে বাড়ি এসে দেখেন, ঘরের মেঝেয় পড়ে সাফিরার দেহ। গলার নলি কাটা। তাঁর চিৎকারে পড়শিরা জড়ো হন। খবর যায় পুলিশে।