পরিবারের সঙ্গে রেজাউল (মাঝে)
নিখোঁজ থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে পুলিশের উদ্যোগে ফিরে পেল তাঁর পরিবার। রেজাউল মোল্লা নামে ওই যুবককে রবিবার বিকেলে পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলা থানার সন্তোষপুর পান্দারপাড়ার বছর তিরিশের রেজাউল দিন দশেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁকে ফিরে না পেয়ে কার্যত হাল ছেড়ে দেন মা রুখিয়া বিবি।এ দিকে, রবিবার রাত ৩টে নাগাদ টহল দিতে গিয়ে ফলতার পুলিশের গাড়ি নতুনরাস্তা ও ফলতা থানা রোডে ঈশ্বরীপুর ধানকল মোড়ের কাছে এক যুবককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। প্রথমে তারা ভেবেছিল, যুবকটি বুঝি নেশাগ্রস্ত। কিন্তু জিপ থেকে নেমে তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, যুবকটি মদ্যপ অবস্থায় নেই। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্নান করিয়ে খাওয়া-দাওয়া করানো হয়। ঘুমিয়ে পড়েন যুবক। পর দিন পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলে নাম-ঠিকানা জানতে চায়। প্রথমে কিছুই বলতে চাইছিলেন না যুবক। বহুক্ষণের চেষ্টায় নামটুকু বলেন। ঠিকানা কোনও ভাবেই বলতে চাইছিলেন না। পরে কথায় কথায় পুলিশ জানতে পারে, যুবকের বাড়ি মহেশতলার পান্দারপাড়ায়। বাড়ির ঠিকানা পাওয়ার পরেই পুলিশ ওই এলাকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুবকের বাড়িতে খবর দেয়। যুবকের মা রুখিয়া বিবির সঙ্গেও ফোনে কথা বলে তারা। এ দিন বিকেলে রেজাউলকে নিতে এসেছিলেন তাঁর দাদা বাপি মোল্লা ও এক বৌদি। তাঁরা বলেন, ‘‘রেজাউল নিখোঁজ হওয়ার পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। ওঁর এক বোন বেশ কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ। আমরা ভেবেছিলাম রেজাউলকেও বোধ হয় আর পাওয়া যাবে না! আমরা এক রকম হাল ছেড়েই দিয়েছিলাম। পুলিশের উদ্যোগে ওকে ফিরে পেয়ে ভারী ভাল লাগছে।’’