—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP
ভাঙড়ে রাত পর্যন্ত জমা নেওয়া আইএসএফের মনোনয়ন বাতিল হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন ঘিরে রক্তাক্ত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ২ ব্লক। তৃণমূলের লোকজন সকাল থেকে ব্লক অফিস ঘিরে রেখে বোমাবাজি করে, গুলি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। বেলা ৩টে পর্যন্ত অফিসের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি আইএসএফ প্রার্থীরা। সিপিএমের কয়েক জন মনোনয়ন জমা দিতে এলে তাঁদেরও মেরেধরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
৩টের পরে আবার ব্লক অফিসের দখল নেয় আইএসএফ। তাদের দাবি মেনে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মোতাবেক, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন জমা নেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা। এই পরিস্থিতিতে রাত পর্যন্ত জমা পড়া আইএসএফের মনোনয়নগুলি মান্যতা পাবে কি না, সে সংশয় ছিলই।
মঙ্গলবার প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, রাত পর্যন্ত জমা হওয়া আইএসএফের ১১৩টি মনোনয়নপত্রই বাতিল হতে পারে। গত মঙ্গলবার আইএসএফ শ’খানেক আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। জাতিগত শংসাপত্র জমা না দেওয়ায় তারও প্রায় অর্ধেক বাতিল হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এ নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য কেউ মুখ খোলেননি।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আইএসএফের মনোনয়ন জমা নেওয়ায় তৃণমূল হাই কোর্টে মামলা করে। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানায়। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে্। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয়। বাধ্য হয়ে আমাদের প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের পরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। আমাদের বেশ কিছু প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি।’’
তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘‘ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা কাউকে বাধা দিইনি। শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন হয়েছে। বরং ওরাই বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছিল।’’