প্রতীকী চিত্র
ভরদুপুরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা হল বসিরহাট আদালত চত্বরের পাশের রাস্তায়। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। তনয় বসু নামে আহত ওই ব্যবসায়ীকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তনয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জয়ন্ত ভৌমিক ওরফে জয় নামে ওই হামলাকারীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। সে পলাতক। তার খোঁজ চলছে। তবে, হামলার কারণ নিয়ে পুলিশ ধোঁয়াশায়। তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও মহিলা ঘটিত কারণে এই খুনের চেষ্টা। জয়ন্তকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কারণ স্পষ্ট হবে না বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের কলেজপাড়ার বাসিন্দা তনয় একটি নিরাপত্তা সংস্থার মালিক। সাঁইপালার বাসিন্দা জয়ন্ত বছর দশেক আগে ওই সংস্থায় কাজ করত। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বসিরহাট আদালতের পাশে শহিদ দিনেশ মজুমদার রোড দিয়ে মোটরবাইকে আসছিলেন তনয়। জয়ন্তকে দেখে তিনি বাইক থামান। অভিযোগ, হঠাৎ জয়ন্ত তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তনয়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে জয়ন্তের হাত থেকে ভোজালি কেড়ে নেন। জয়ন্ত নিজের সাইকেল ফেলেই পালায়। স্থানীয়েরাই তনয়কে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তনয় বলেন, ‘‘ভোজালি বের করে ও আমার মাথায় কোপ মারতে গিয়েছিল। হেলমেট থাকায় বেঁচে গিয়েছি। হাতে কোপ পড়ে। কেন যে ও আমায় খুন করতে চাইছিল, বুঝলাম না। কোনও কথাও বলেনি।’’ তবে, তনয় পুলিশকে জানান, মাঝেমধ্যে জয়ন্ত তাঁকে ফোন করে হুমকি দিত। কিন্তু কী কারণে, তা জানা নেই বলে তনয়ের দাবি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তনয়কে কোপানোর সময়ে জয়ন্ত তার পাওনা টাকার প্রসঙ্গ তুলে চিৎকার করছিল। তনয় অবশ্য জয়ন্তের দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন।
দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় চিন্তিত আইনজীবী এবং এলাকার ব্যবসায়ী মহল। বসিরহাট দেওয়ানি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত মজুমদার বলেন, ‘‘বিশেষ করে আদালত লাগোয়া রাস্তায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু তা বোধ হয় নেই। না হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। পুলিশের আরও সতর্ক থাকা উচিত।’’