বাসন্তীতে প্রতিবন্ধী নাবালিকার দেহ উদ্ধার প্রতিবেশীর বাড়ির মেঝে খুঁড়ে। — প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে প্রতিবেশীর বাড়ির মেঝে খুঁড়ে এক প্রতিবন্ধী নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনায় ২ প্রতিবেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাসন্তীতে প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে খুন করে বাড়ির মেঝে খুঁড়ে পুতে রাখার অভিযোগ। গত দু’দিন ধরে নাবালিকার কোনও খোঁজ মিলছিল না। নিখোঁজ অভিযোগ দায়েরও হয়েছিল বাসন্তী ফাঁড়িতে।
নাবালিকার বাবা জাহাঙ্গির মল্লিকের দাবি, বুধবার স্কুল থেকে বই নিয়ে বাড়িতে ফেরে মেয়ে। বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বেরোয়। তার পর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখোজি শুরু হয়। কিন্তু নাবালিকাকে পাওয়া যায়নি। বাসন্তী ফাঁড়িতে নাবালিকার বাবা নিখোঁজ ডায়েরিও করেন।
ঘটনা ঘটার দু’দিন পর অর্থাৎ শুক্রবার প্রতিবেশী শাহানারা লস্করের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেন ওই নাবালিকার দেহ। সেখানে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। খবর যায় বাসন্তী থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খবর পেয়ে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছন ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক দিবাকর দাস। প্রতিবেশীদের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ায় সন্দেহ যায় তাঁদের দিকেই। তিন প্রতিবেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহত ওই নাবালিকার মা ইয়াসমিনা মল্লিক বলেন, ‘‘স্কুল থেকে নতুন বই এনে বাড়িতে আমাদের দেখিয়ে রাস্তা খেলতে বার হয়েছিল। ও প্রতিবন্ধী। তাই খুব বেশি জোরে হাঁটতে পারে না। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে ফিরছে না দেখে আমরা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কিন্তু না পেয়ে আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম কোনও পুকুরে পড়ে গিয়েছে। বুধবার রাতে এলাকার সমস্ত পুকুরে জাল ফেলে খোঁজা হয়। কিন্তু কোথাও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার আরও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোথাও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বাসন্তী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।’’
ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই খুন নাকি খুনের পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।