সাগরের কপিল মুনির মন্দির থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় আচমকা টর্নেডো দেখতে পান স্থানীয়রা। ফাইল চিত্র।
সাগরদ্বীপে মিনি টর্নেডোর দাপট সোমবার সকালে। মিনিট দু’য়েকের ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল সরকারি কটেজ এবং বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কপিল মুনির মন্দির। এর জেরে দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা দ্বীপে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে সাগর দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। সোমবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ সাগরের কপিল মুনির মন্দির থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় আচমকা টর্নেডো দেখতে পান স্থানীয়রা। ভয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। আনুমানিক ১০ ফুট ব্যাসার্ধ নিয়ে ঘুরতে থাকে টর্নেডো। রাস্তার ধারে পঞ্চায়েত সমিতির কটেজের মধ্যেও দাপিয়ে বেড়ায় টর্নেডো। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাত্র দু’মিনিট স্থায়ী হয়েছিল এই ঝড়। কিন্তু এর প্রভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সাগর কটেজ পুরো তছনছ হয়ে গিয়েছে। অস্থায়ী চারটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টর্নেডোয় তছনছ হওয়া কটেজ। নিজস্ব চিত্র।
খবর পেয়েই প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কয়েক জন পর্যটক ক্ষতিগ্রস্ত কটেজে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে এই ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে তার কাছেই কপিল মুনির মন্দির। টর্নেডো বেশিক্ষণ স্থায়ী না হওয়ায় রক্ষা পায় মন্দির চত্বর। ইয়াসের পর ভারী বৃষ্টি চলাকালীন সাগরদ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি টর্নেডোর দেখা মিলেছিল। তবে সেটি স্থলভাগে প্রবেশ করেনি। এ বার স্থলভাগেও আছড়ে পড়ল টর্নেডো। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেছেন, ‘‘টর্নেডোর প্রভাবে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সরকারি কটেজ এবং দোকান লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। আমরা পর্যটকদের উদ্ধার করেছি। তবে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটেনি।’’