ক্ষতিগ্রস্ত সেই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র ।
রাত সাড়ে ৮টা তখনও সরগরম এলাকা। বনগাঁ শহরে চাঁপাবেড়িয়ায় বনগাঁ-চাকদহ সড়কের পাশে, রাস্তার উপরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে বাইক। কেউ বাইকে বসে মোবাইল ঘাঁটছিলেন। কেউ বাইকের পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। অনেকেই এসেছিলেন এলাকার একটি চায়ের দোকানে।
আচমকাই গোপালনগরের দিক থেকে একটি চার চাকা ছোট গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক বাইকে ধাক্কা মারে। একাধিক বাইক রাস্তায় পড়ে যায়। ছিটকে পড়েন অনেকে। রাস্তায় লোকজন ছোটোছুটি শুরু করেন। জখম ৩ জনকে পরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬টি বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে গাড়িটি ধাক্কা মারে, ক্ষতি হয়েছে সেটিরও। লোকজন চালককে ধরে মারধর করেন। পরে অবশ্য সে পালিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসিন্দাদের দাবি, গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। গোপালনগরে আরও দু’টি গাড়িকে ধাক্কা মেরে এসেছিল চালক।
এই ঘটনার পরে রাতে বনগাঁ শহরে বেপরোয়া গাড়ি, বাইক চালানো বন্ধ করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি, রাস্তার উপরে বেআইনি বাইক, গাড়ি পাকিং বন্ধেরও দাবি উঠেছে নতুন করে।
এমনিতেই রাতে বনগাঁ শহরে পণ্যবাহী ট্রাক চলে। পথচারীদের সমস্যা হয়। বেপরোয়া বাইক, গাড়ির দাপটে প্রাণহাতে চলতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসী। রাত বাড়লেই বনগাঁ শহরে শুরু হয় বাইক, ছোটগাড়ির দৌরাত্ম্য। অভিযোগ, অনেকে মত্ত অবস্থায় বাইক, গাড়ি চালান। বেপরোয়া গতিতে সেগুলি যাতায়াত করে। বনগাঁ-চাকদহ সড়কে বাইক রেস করে কিছু যুবক। অভিযোগ, শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে অনেক চায়ের দোকান আছে। সেখানে বাইকের ভিড় জমে। রাস্তা দখল করে বাইক রাখা হয়।
বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘বেপরোয়া যান চলাচল বন্ধ করতে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। রবিবারের ঘটনায় গাড়ি চালককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হবে। সমস্যা মেটাতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’