নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির জাল ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে, তাই জেলার ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলার পুলিশ সুপার। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকটি জালিয়াতির খবর এসেছে। প্রতিবারই পুরনো চেক ভাঙিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একই কায়দায় অশোকনগরের ঈশ্বরীগাছায় ৪৮ লক্ষ টাকার জালিয়াতি হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সম্প্রতি খবরে আসে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত ধোবারগ্রামের কথা। সেখানে অভিষেক মণ্ডল নামে এক যুবকের সাইবার অপরাধের সাম্রাজ্য দেখে চোখ কপালে ওঠে প্রশাসনের। ভুয়ো ই ওয়ালেট বানিয়ে জালিয়াতি করত অভিষেক। উত্তর ২৪ পরগনার ঘটনার সঙ্গে সাইবার অপরাধ জড়িয়ে না থাকলেও উঠে এসেছে অর্থ জালিয়াতির ঘটনা, যার প্রকৃতি কিছুটা একই। সম্প্রতি দত্তপুকুর থানার বামুনগাছি ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক শাখার একাধিক গ্রাহকের তরফে থানায় অভিযোগ করে বলা হয়, চেক তাদের কাছে থাকলেও তা ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অশোকনগর ঈশ্বরীগাছা ঘটনার পর পুলিশ মোট আট জনকে গ্রেফতার করে জানতে পারে এই চক্র বেশ বড়। এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৮ লক্ষ টাকা জালিয়াতির হিসেব পেয়েছে পুলিশ। বারাসাত পুলিশ জেলার বেশ কিছু এলাকা জুড়ে এই ধরনের অপরাধ চলছে।
জল যাতে বেশি দূর না গড়ায়, সেই কারণেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসল পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, অভিজিৎ দাস নামে ঈশ্বরীগাছার যে ব্যাঙ্ক অধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনিই এই জালিয়াতি মূল চক্র। এর আগে স্বরূপনগরেও এই জালিয়াতির চক্র চলত। এ সব বিষয়গুলিই খতিয়ে দেখছে বারাসাত জেলা পুলিশ।