গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
স্ত্রীকে লুকিয়ে পরকীয়া করতেন। প্রেমিকার সঙ্গে লিভ ইনও করতেন। কিন্তু তাঁকে মারধর করে এবং অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আবার স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছিলেন। খুনের চেষ্টার ঘটনার প্রায় এক মাস পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার তাঁকে তোলা হয়েছে বারুইপুর মহকুমা আদালতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় গড়িয়ার বাসিন্দা জনৈকা মিতা গায়েনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিতাকে একাধিক বার আঘাত করা হয়। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় একত্রবাসের সঙ্গীর। অভিযোগ, সেই সঙ্গীর হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মিতা দৌড়ে গিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তকে খুঁজছিল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অবশেষে দাসপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বাবু হালদার। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বাবু গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে কাজ করতেন। সেখানেই মিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। দু’জনের ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। পরে মিতার প্রেমে পড়ে স্ত্রীকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গে বসবাস শুরু করেন বাবু। বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
মিতা দাবি করেছেন, ওই সম্পর্ক থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে চাইলে শুরু গন্ডগোল। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। অন্য দিকে, ২৪ নভেম্বরের পর থেকে নানা জায়গায় ঘুরেছেন বাবু। পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। বারুইপুরের বিভিন্ন এলাকায় থাকতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। স্ত্রী-ও স্বামীকে ফিরে আসতে বলেন। এর পর দাসপাড়ার বাড়িতে তাঁরা সংসার করছিলেন। অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।