Narendrapur Murder

নরেন্দ্রপুরে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন, জমি-বিবাদের জেরেই কি? গ্রেফতার এক

নরেন্দ্রপুরে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই তাঁকে খুন করেছেন দুষ্কৃতীরা। মৃতদেহের পাশে মিলেছে রক্তমাখা হাতুড়িও। এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ১০:০০
Share:

নরেন্দ্রপুরে নিহত সুফল নস্কর। —নিজস্ব চিত্র।

জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে নরেন্দ্রপুর এলাকায় এক ব্যক্তিকে মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল। শনিবার দুপুরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাথার এক পা‌শে গভীর ক্ষত ছিল ওই ব্যক্তির। জমির পাশের রাস্তা থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। মৃতদেহের কাছে মিলেছে একটি রক্তমাখা হাতুড়ি। ওই হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের খেয়াদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরপুরের বাসিন্দা সুফল নস্কর (৪৫)। শনিবার দুপুরে জমিতে সার দিচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয়েরা অনেকেই তাঁকে সার দিতে দেখেছেন। কিন্তু তার পরেই তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার ধারে। কে বা কারা এই কাজ করল, তা স্পষ্ট নয়। মৃতের পরিবারের সন্দেহ, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বিপদ নস্কর ওরফে ফটিক নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। রবিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে হাজির করানো হবে।

মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, জমির বণ্টন নিয়ে খুড়তুতো, জেঠতুতো ভাইবোনের সঙ্গে বিবাদ চলছিল সুফলের। কিছু দিন আগেও এই সংক্রান্ত ঝামেলা হয়েছে। সেখানে নাকি ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঝেমাঝেই এমন ঝামেলা হয় বলে বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি তাঁরা। গ্রাম পঞ্চায়েতে সালিশি সভা ডেকেও এই ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা হয়েছিল। তার মাঝেই শনিবারের এই ঘটনা।

Advertisement

অভিযোগ, মৃতের মাথার পাশে কয়েক ইঞ্চির ক্ষত মিলেছে। হাতুড়ি দিয়ে মেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রক্তমাখা হাতুড়িও। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement