প্রতীকী চিত্র।
আবার খুন ভাঙড়ে। মদের আসরে এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠায় ভাঙড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। এই ঘটনাটি রবিবার গভীর রাতে ভাঙড় থানা এলাকার অন্তর্গত গড়ান বেরিয়া এলাকায় ঘটেছে। মৃতের নাম অজয় পাল (৩২)। অজয় পেশায় এক জন প্রতিমাশিল্পী। খুন করার পর অভিযুক্ত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পলাতক অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে অজয় তাঁর বন্ধু রাজু শেখের সঙ্গে মদ্যপান করতে বসেছিলেন। দুই বন্ধুর মদের আসরেই হঠাৎ বচসা শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকায় মদের আসরে রাজু একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অজয়ের গলা কেটে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভাঙড় থানার পুলিশ। তবে অজয়কে খুন করার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত রাজু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় এবং রাজু দু’জনেই একই এলাকার বাসিন্দা।
দুই বন্ধু মাঝেমধ্যেই একসঙ্গে মদ্যপান করতেন। রবিবার এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পলাতক অভিযুক্তের দ্রুত সন্ধানের জন্য তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান।
ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই ভাঙড়ে অশান্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ভাঙড়ে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শনিবার ভাঙড়ে এসেছে এক কোম্পানি আধাসেনা। এলাকায় চলেছে রুটমার্চও। ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে একাধিক জেলায় টহলদারি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, হুগলির সিউড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম, আরামবাগ থেকে দিনহাটা, সর্বত্র রুটমার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অন্য দিকে, শনিবারই ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধে দুই তৃণমূল কর্মী এবং এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। শনিবার বিকেলে কাশীপুর থানায় গিয়েছিলেন সিআইডির গোয়েন্দারা।