—ফাইল চিত্র।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এলাকায় তৈরি হচ্ছে কোয়রান্টিন কেন্দ্র। কিন্তু তাতে ঘোর আপত্তি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখালেন তাঁরা। শনিবার ঘোলা ও নিউ ব্যারাকপুরে ওই দু’টি ঘটনা ঘটে।
ঘোলা থানার মুড়াগাছা এলাকার শশিভূষণ হাইস্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুক্রবার রাতেই এক জন শ্রমিককে এনে রাখা হয়েছে সেখানে। পরে আরও বেশ কয়েক জনকে এনে রাখা হবে। বিষয়টি জানতে পেরে এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ এলাকার লোকজন ওই স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ লাঠি চালায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশকর্তারা।
অন্য দিকে, এ দিন নিউ ব্যারাকপুরের এপিসি কলেজে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করা নিয়েও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। পরে পুরসভার তরফে এক আধিকারিক এসে জানান, ওই কলেজে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হবে না। তার পরেই বিক্ষোভ ওঠে।
একই ভাবে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে বরাহনগরের নেতাজি কলোনির একটি স্কুলেও কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করা যায়নি। শুক্রবার ওই এলাকাতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড এলাকাটি ঘন বসতিপূর্ণ। সেখানে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি হলে সমস্যা বাড়বে। বরাহনগর পুরসভা সূত্রের খবর, ওই স্কুলের বদলে অন্যত্র জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে।