লক্ষ্মী পুজার কেনাকাটার ব্যস্ততা। হাবড়ায় ছবিটি তুলেছেন সুজিত দুয়ারি।
লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যা থেকে হাবড়া শহরে শুরু হয়ে যায় শব্দবাজির তাণ্ডব। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। বেশিরভাগ মানুষ ভয়ে নিজেদের ঘরবন্দি রাখেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোন না। লক্ষ্মীপুজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেও যেতে ইতস্তত করেন। রাস্তাঘাট শুনশান চেহারা নেয়। চারদিকে বারুদের গন্ধ, ধোঁয়ায় ভরে যায়। পুজোর রাতে এটাই কার্যত পরিচিত ছবি হাবড়া শহরের।
বাসিন্দারা জানালেন, যে বছরগুলিতে পুলিশ-প্রশাসন আগে থেকে নজরদারি, ধরপাকড় করে, সে বার তাণ্ডব কিছুটা কমে। এ বার এখনও পর্যন্ত পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইক প্রচার করে মানুষকে সচেতন করতে দেখা যায়নি। কাল, শনিবার লক্ষ্মীপুজো। যদিও হাবড়া থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, লক্ষ্মীপুজোয় শব্দবাজি বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বাজি বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গ্রিনবাজি ছাড়া আর কোনও বাজি বিক্রি ও মজুত করা যাবে না। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও শব্দবাজি মজুতের ছবি সামনে আসেনি।
হাবড়ার পাশাপাশি বনগাঁ, অশোকনগর, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বসিরহাট সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় থেকে শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। এ বার অবশ্য বিসর্জনে জেলায় শব্দবাজি ফাটতে কার্যত দেখা যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর সময় পর্যন্ত জেলায় শব্দবাজির তাণ্ডব চলে লাগাম ছাড়া। এ বার প্রকাশ্যে শব্দবাজি বিক্রি হতেও দেখা যাচ্ছে না। পুলিশের এক কর্তার কথায়, "দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকে শব্দবাজির বিরুদ্ধে পুলিশ জেলা জুড়ে লাগাতার ধরপাকড় করেছে। প্রচুর শব্দবাজি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কয়েক জন কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সবের ফলে কারবারিরা শব্দবাজি বিক্রি করতে সাহস দেখাচ্ছে না। তা ছাড়া, মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছেন।"
তবে পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।