বারাসতে প্রশাসনের নজরদারি। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়েছে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ। তাই কালীপুজোর আগে সতর্ক হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন। বারাসতে কালীপুজো উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। করোনা বিধি মেনে মণ্ডপে সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুজো কমিটিগুলিকে। বুধবার বারাসত জেলা পুলিশের কর্তারা ঘুরে দেখলেন বারাসতের বিভিন্ন মণ্ডপ।
বারাসত জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুর-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা যান মণ্ডপে মণ্ডপে। রাজনারায়ণ বলেছেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে মণ্ডপর তৈরি হচ্ছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। বেশি সংখ্যক লোকের ভিড় যাতে না হয় সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’’
করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করাতেই নজরদজারি কড়া করেছে জেলা প্রশাসনগুলি। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে আবেদন করেছিলেন। তার পরই রাস্তায় নেমে কড়া ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। ধূপগুড়িতে বুধবার সকাল থেকেই ধড়পাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। শুধু ধূপগুড়ি নয়। জলাপাইগুড়ি জেলা জুড়েই অভিযান চালিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। মাস্ক না পরে বাজারে আসার জন্য গ্রেফতারও করা হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে জেলাতে এখনও অবধি গ্রেফতার করা হয়েছে ১৭৫ জনকে। ধূপগুড়িতে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেছেন, ‘‘জেলাজুড়ে পুলিশ মাস্ক না পরে বাজারে আসা মানুষদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। ১৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গোটা জেলায়। জেলাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে।’’