নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল স্থানীয় প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।
দশম শ্রেণিতে পড়া এক নাবালিকার বিয়ে রুখল দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসন। বুধবার রাতে মগরাহাট ১ নম্বর ব্লকের উত্তর জগদীশপুর এলাকায় ওই নাবালিকার বাড়িতে হাজির হয় উস্তি থানার পুলিশ। দুই পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে দু’পক্ষকে দিয়েই মুচলেকা লিখিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিকরা। বছর পনেরোর ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর সাতাশের নন্দদুলাল মণ্ডলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন নাবালিকা ছাত্রীর বাবা। সেই মতো বুধবার বিয়ের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছিল। নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর পান স্থানীয় বিডিও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তৎক্ষণাৎ তিনি উস্তি থানার ওসি অভিষেক বিশ্বাসকে বিষয়টি জানান।
ওই দিন সন্ধ্যায় ওসি-সহ উস্তি থানার পুলিশ বাহিনী নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে দেখেন পাত্রপক্ষ হাজির হয়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়রাও জড়ো হয়েছেন সেখানে। বিয়ের আনুষ্ঠানিক কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিয়ে বন্ধ করতে বলায় নাবালিকা ও পাত্রপক্ষের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে দুই পরিবারকেই বুঝিয়ে বিয়ে রুখে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগে কোনও ভাবেই বিয়ে দেওয়া যাবে না, সেই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
দুই পরিবারের সম্মতিতে মুচলেকা লিখিয়ে নেয় পুলিশ। পাশাপাশি নাবালিকাকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেন উস্তি থানার ওসি।